1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ডুমুরিয়ায় কচ্ছপ বিক্রয়’র অপরাধে ১ যুবককের ১২ দিনের কারাদন্ড দলীয় বিভক্তির অবসান, পটিয়া উপজেলা বিএনপিতে ঐক্যের নবসূচনা কেশবপুরে মাইকেল মধুসূদন দত্ত-এঁর ১৫২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মধ্যনগরে বিধবা নারীকে ধর্ষন মামলার ১৮দিন পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় জেন্ডার সচেতনতা ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ মোহনগঞ্জ পৌরসভার ১৩ কোটি টাকার কর-মুক্ত বাজেট ঘোষণা ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমেদের উদ্যোগে এইচ এস সি-২৫ ব্যাচের পরীক্ষার্থীদের মাঝে কলম, মাস্ক, পানি বিতরণ  গঙ্গাচড়ায় আবাদি জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে পুকুর খনন ও কাঁচা ঘরে নির্মাণের অভিযোগ পাইকগাছা কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠি পাটকেলঘাটায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৭৯ পিচ ইয়াবা ও ৪০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ০৪

মধ্যনগরে বিধবা নারীকে ধর্ষন মামলার ১৮দিন পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

চয়ন চৌধুরী/ সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে শমলা আক্তার (৪৮) নামে এক বিধবা নারীকে ধর্ষন ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১৮ দিন পর অভিযুক্ত সোহেল হোসেন(২৫) নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পাশের তাহেরপুর উপজেলার কলারগাঁও এলাকা থেকে অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে মধ্যনগর থানা-পুলিশ। পরে রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।এর আগে গত ৯ জুন উপজেলার বংশিকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর বিধবা স্ত্রীর সঙ্গে এ ধর্ষনের ঘটনাটি ঘটায় একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে সোহেল হোসেন।পরে এ ঘটনায় গত ১২জুন ভিকটিম শমলা আক্তার বাদি হয়ে সোহেল হোসেনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকেই অভিযুক্ত সোহেল পলাতক ছিলেন। জানা যায়, বিধবা শমলা আক্তারের সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে গোপনে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন একই গ্রামের সোহেল হোসেন নামে ওই যুবক। এরই মধ্যে গত ৯ জুন মঙ্গলবার দিনগত রাতে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে, ধর্ষিতা বিধবা শমলা আক্তার অভিযোগে প্রকাশ করেছে যে, ঘটনার দিন ভোর রাতে তার ঘরে সোহেল হোসেন প্রবেশ করে, এবং তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। তাছাড়াও ঐসময় ধর্ষিতার ১৮ বছর বয়সী ছেলে পাশের রুমে ঘুমেছিলো।কিন্তু রহস্যজনক বিষয় হল অভিযুক্ত সোহেল হোসেন ধর্ষণের পরেও, রাত প্রভাত হয়ে সকাল হলেও ঐ ঘরেই শুয়ে ঘুমাচ্ছিলো।পরে সকাল বেলায় ধর্ষিতার সহোদর বোন ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সোহেলকে আটকে রাখে। পরে আশপাশে খবর দিলে লোকজন জড়ো হতে থাকে এবং এলাকার মাতব্বরগন ঘটনা স্থলে আসেন।এ সময় উপস্থিত মাতব্বরগন বিষয়টি মিমাংসা কারার জন্য আলোচনায় বসেন। এই সুযোগে অভিযুক্ত সোহেল হোসেনজানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। এরপর মিমাংসা না হওয়ায়। গত ১২ জুন রবিবারে ধর্ষিতা বিধবা শমলা আক্তার বাদী হয়ে, মোঃ সোহেল হোসেনের বিরুদ্ধে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।এছাড়াও আরও জানা যায়, সুরুজ আলী দেশের বাহিরে উমান থাকাকালীন, তার স্ত্রী শমলা আক্তার, একই গ্রামের মোঃ আলী হোসেনের ছেলে, মোঃ সোহেল হোসেনের সাথে ৫ বছর আগে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আড়াই বছর আগে উমান প্রবাসী সুরুজ আলী দেশের বাড়িতে আসলে তার স্ত্রী শমলা ঐ সোহেলের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত থাকার বিষয়টি জানতে পারে। এবং তার স্ত্রীকে পরকীয়ার কেলেংকারি থেকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, অবশেষে দুই বছর আগে বিষপানে আত্মহত্যা করেন শামলার স্বামী সুরুজ আলী। তখন ঐ আত্মত্মহত্যার বিষয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল, তারপরও দুইজনের পরকীয়া করা থামেনি। পরকীয়ার প্রেম চলছে তো চলছেই তাদেরকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারেনি মামলা এবং সমাজের লোকজন।এ বিষয়ে অভিযোগকারী বিধবা নারী শমলা আক্তারের সাথে কথা বললে, সে গণমাধ্যমকে জানায় যে, সোহেলকে বিয়ে করার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু তাকে ছেড়ে সোহেল পালানোর কারনে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তাছাড়া সোহেল পলাতক থাকা অবস্থায় এলাকার মাতব্বরগণ বিষয়টি আপোষ মিমাংসা কারার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো, পরিশেষে দুই পক্ষেরেই আপোষের সম্মতি দিলো।অবশেষে শনিবার ২৮ জুন রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় এসআই বিকাশ সরকার সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায়, তাহিরপুর উপজেলার কলাগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে, এবং ধর্ষক সোহেলকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট