1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আশাশুনির বড়দলে রবিউল বাশারের গণসংযোগ, মহিলা সমাবেশ, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ভাটা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ধর্মপাশার সাবেক উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী আর নেই কেশবপুরে অস্ত্র-গুলি,গাঁজা ইয়াবাসহ ৪জন গ্রেফতার আশাশুনিতে এমপি প্রার্থী রবিউল বাশারের দিনব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগ ডুমুরিয়ায় এক ঘন্টার দুধের হাটে বিক্রিয়‌ হয় লক্ষ লক্ষ টাকার দুধ মাগুরার শালিখায় সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষীরা কেশবপুরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল খুলনা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চুড়ান্ত আমির এজাজ খান

খালিয়াজুরীতে রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের আসামি করা নতুন ট্রেন্ড

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

তানিম খানঃনেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ এনে এক বছর আগের ঘটনার ভিত্তিতে নতুন করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন খালিয়াজুরি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুকবুল হোসেন।বুধবার (২ জুলাই) উপজেলা সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং পেশাদার সাংবাদিকরাও রয়েছেন, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক সমাজ।প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক এমপি সাজ্জাদুল হাসানকে, দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক রব্বানী জব্বার।মামলায় উল্লেখযোগ্য আরও কিছু আসামি হলেন—৫১ নম্বর: দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি ও খালিয়াজুরি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম১০৬ নম্বর: সকালের সময়-এর প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দেবসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী মো. শাহিন মিয়া (১৩ নম্বর), খাদ্য গুদামের প্রহরী রাজন তালুকদার (২০ নম্বর), সহকারী শিক্ষক আবদুল মোনায়েম (১৮৬ নম্বর) এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অফিস সহায়করাও রয়েছেন।গণমাধ্যমকর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ নেত্রকোনার পেশাদার সাংবাদিকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে যে রাজনৈতিক মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে, তাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাংবাদিকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। গত দুই-তিন মাসে নেত্রকোনায় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক রাজনৈতিক মামলায় ফেঁসে গেছেন। তারা এটিকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত ও ‘ফ্যাসিবাদী আচরণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।মামলার ৫১ নম্বর আসামি সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম বলেন,এজাহারে যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, সে সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমাকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নই।”তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন সাংবাদিক মৃণাল কান্তি দেব। তিনি বলেন,“আমি এই ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত নই। এজাহারে আমার নাম থাকা অত্যন্ত অপমানজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”খালিয়াজুরি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল্লাহ বলেন,“সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও মৃণাল কান্তি দেব প্রকৃত অর্থে পেশাদার সাংবাদিক। তাঁদের এমন মামলায় জড়িয়ে দেয়া মানহানিকর এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আশা করি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।”মামলার পটভূমি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটএজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা চলাকালে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত আসামিরা দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। দলীয় সভা পণ্ড করে দেয় এবং ১৫টি মোটরসাইকেল ও ৩টি ইজিবাইক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। যদিও ঘটনার প্রায় এক বছর পর এই মামলা দায়ের করা হলো।বাদী মজলু মিয়া জানান,“দলীয় সিদ্ধান্তেই মামলা করা হয়েছে।”তবে এর বাইরে কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রউফ স্বাধীন বলেন,“এই মামলার বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। বাদী আমার সঙ্গে পরামর্শ করেননি।”তিনি সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিলেও মাহবুবুর রহমানের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।মামলা ও গ্রেপ্তার পরিস্থিতিখালিয়াজুরি থানার ওসি মুকবুল হোসেন বলেন,“মামলার পর আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। অনেকেই পূর্বের মামলায় কারাগারে রয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট থেকে জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৬০টি মামলা হয়েছে। মোট আসামির সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। এসব মামলার কয়েকটিতে পেশাদার সাংবাদিকদের নাম যুক্ত থাকায় স্বাধীন সংবাদপত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট