আব্দুর রশিদ / উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণের কারণে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। বসতবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে, ভেসে গেছে ফসলের ক্ষেত ও মৎস্য ঘের, ভেঙে পড়ছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে ভ্যান ও রিকশা চালকসহ দিনমজুর মানুষেরা।সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা এলাকার বাসিন্দা জানান, পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, অপরিকল্পিতভাবে নদী-খাল খনন ও দখলের কারণে মানুষ বছরের পর বছর ধরে জলাবদ্ধতায় ভুগছেন।ভারী বর্ষণে ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে পৌরসভার ইটাগাছা, কামালনগর, বারুইপাড়া, কুখরালী, রসুলপুর, মেহেদিবাগ, মধুমোল্লারডাঙ্গী, বকচরা, পলাশপোল, পুরাতন সাতক্ষীরা, বদ্দিপুর কলোনি, ঘুটিরডাঙি ও কাটিয়া মাঠপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার।এলাকাবাসীরা আরও জানান, বছরের চার থেকে পাঁচ মাস এই এলাকা গুলো হাঁটু পানি জমে থাকে। দীর্ঘ দিন পানি আটকে থাকায় চলাচলের রাস্তাটি গেছে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দূষিত পানির কারণে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত চর্মরোগ স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে এলাকাটি। গোসল, পায়খানা ও খাবার পানি সংগ্রহে খুব কষ্ট হচ্ছে এলাকার মানুষের।এ অবস্থায় শিশুরাও ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না দূষিত পানি ও সাপের ভয়ে। এ সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে অবৈধ নেটপাটা ও বেড়িবাধ দিয়ে যারা মাছ চাষ করেছেন সেগুলো কেটে দিয়ে পানি অপসারণ করা হচ্ছে। গতকাল ভারী বর্ষণের মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় পানি অপসারণের জন্য কাজ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।