মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টু/ময়মনসিংহের ত্রিশালে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করেছে প্যাসিফিক আইডিয়াল হাই স্কুল। ১০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই আনন্দে উচ্ছসিত হয়ে পড়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ। নজরুল স্মৃতি বিজরিত কাজির শিমলায় ২০১৩ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সেরা ফলাফল অর্জনের মাধ্যমে বৈলর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সেরা স্কুলের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর অত্র স্কুল থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৫৫ জন শিক্ষার্থী। সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সর্বোচ্চ জিপিএ ও শতভাগ পাশসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। অত্র স্কুলের শিক্ষার্থী মোহতানিকা তালুকদার অজস্র ১১৮৫ নম্বর পেয়ে ত্রিশাল উপজেলায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে।কৃতিত্বপূর্ণ এ ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা ।
ঈর্ষণীয় এমন সাফল্যে খুশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকরা।বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফল ঘোষণার আগে থেকেই বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বাঁধভাঙা আনন্দে আত্মহারা সবাই। যোগ হয়েছে অত্র অঞ্চলে সেরা হওয়ার বাড়তি অর্জন।শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা তাদের প্রতিটা ধাপ পার হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। শিক্ষকদের সহায়তা ও উৎসাহ এবং স্কুল পরিচালনায় কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা তাদের ফলাফলের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।বৈলর ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে সেরা প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জন করায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আনন্দে ভেসেছেন অভিভাবকরাও।আর শিক্ষকরাও তাদের পরিশ্রমের ফল পেয়ে আবেগাপ্লুত। জানান, পরিশ্রম করলে তার ফল আসবেই।প্যাসিফিক আইডিয়াল হাই স্কুল -এর প্রধান শিক্ষক তাহেরা সুলতানা বলেন, আমাদের চমৎকার অর্জনের পেছনে রয়েছে শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম এবং শিক্ষকদের সহায়তা।নাহার এন্ড আব্দুল আজিজ খান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অত্র স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক মোঃ রুহুল আমিন জানান, নিয়মানুবর্তিতা এবং কঠোর পরিশ্রমই প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক সাফল্যের মূলমন্ত্র। এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে শিক্ষার্থীরা যেন উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের অগ্রযাত্রা।এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড,ময়মনসিংহের অধীনে ১৬৫ টি কেন্দ্রে ১৩২৮ টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১,০৭,১৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১,০৫,৫৫৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। জিপিএ -৫ পেয়েছে ৬,৬৭৮ জন এবং পাসের হার ৫৮.২২%।