চয়ন চৌধুরী/হাওরাঞ্চল খ্যাত সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার বুক চিঁড়ে প্রবাহিত সুরমা ও মেঘনা নদের সংযোগ রক্ষাকারী ধনু নদের বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় একটি চক্র বড়-বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নদের তীরবর্তী এলাকার অসংখ্য গ্রাম ও হাট-বাজার বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দুপুর ২টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ কাদেরের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় খালিয়াজুড়ি ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার সীমান্তবর্তী ধনপুর বাজার সংলগ্ন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি বৃহদাকৃতির ড্রেজার জব্দ করা হয়।তবে যৌথ বাহিনীর অভিযান টের পেয়ে ড্রেজারে থাকা দ্বায়িত্বরত লোকজন সেখান থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়।শনিবার সন্ধ্যায় খালিয়াজুড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএ কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, হাওরাঞ্চল খ্যাত নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত ধনু নদের আমানিপুর, আলীপুর, গাগলাজুর বাজার, মান্দারবাড়ি, মহব্বত নগর, পাথরা, হাড়ারকান্দি, শালদিঘা, লিপশা, জগন্নাথপুর, পাঁচহাট ও ধনপুর নামক নদের তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে দিন-রাত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকাল আটটা থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ ওই নৌ-পথে যৌথ অভিযান পরিচালনা করি।এ অবস্থায় দুপুর দুইটার দিকে খালিয়াজুড়ি ও ইটনা উপজেলার সীমান্তবর্তী নদের ধনপুর নামক স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত একটি বৃহদাকৃতির ড্রেজার জব্দ করা হলেও আমাদের অভিযান টের পেয়ে ড্রেজারের দ্বায়িত্বে থাকা লোকজন সেখান থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়ে যায়।তিনি আরো বলেন, আমরা ড্রেজার মেশিনের চাবি, ইঞ্জিন পার্টস, গিয়ার বক্স, ব্যাটারিসহ আরও কিছু মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে জব্দকৃত আলামত হিসেবে ইটনা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও ড্রেজার মেশিনের কিছু যন্ত্রাংশ অকার্যকর করার পর ড্রেজারটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়।তবে এ নৌ-পথে যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।