মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টু/ময়মনসিংহের ভালুকায় মহাসড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া দোকানিদের বাহারি টি-স্টল বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে চায়ের দোকানগুলোর (টি–স্টল) নামের দিকে তাকালে চোখ আটকে যায়। প্রীতিলতা, ছায়াবীথি, বনলতা কত কী। রাস্তার পাশে এসব বাহারি নামের টি-স্টল চোখে পড়বে ময়মনসিংহের ভালুকায়। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মহাসড়কের পাশের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে সেই দোকানিদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে নান্দনিক টি-স্টলগুলো হস্তান্তর করেছে উপজেলা প্রশাসন ও ভালুকা পৌরসভা।ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ভালুকায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী চায়ের দোকানগুলো যানজট ও জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জনস্বার্থে সেই দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়। উচ্ছেদ হওয়া দোকানিদের বিনা মূল্যে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশাসন। হস্তান্তরের আগে ভালুকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ছোট ছোট দোকান সারিবদ্ধ করে সাজানো হয়।দোকানগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে নীলাম্বরী, সুহাসিনী, মেঘমালা, বনলতা, নীহারিকা, তিথিডোর, চারুদ্বীপ, গুঞ্জরণ, উড়োচিঠি, অনামিকা, ক্যামেলিয়া, প্রীতিলতা, ছায়াবীথি, নিকেতন। ছোট্ট দোকানগুলোকে তুলে দেওয়া হয়েছে উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ পৌর এলাকার ২৬ জনের মধ্যে দোকানগুলো হস্তান্তর করেন। এর আগে তিনি ফেসবুকে ঘোষণা দেন, দোকানগুলো বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে না। দোকানদারকে দুটি ফুলের টব কিনতে হবে, একটি ডাস্টবিন কিনতে হবে এবং চারপাশ পরিষ্কার রাখার চুক্তি করতে হবে, তবেই দোকানি একটি দোকান পাবেন।দোকান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা জায়েদা ফেরদৌসী, উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান প্রমুখ। ইউএনও হাসান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘উচ্ছেদের পর দোকানিরা বেকার হয়ে পড়েন। মানবিক দিক বিবেচনায় তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য বিনা মূল্যে দোকানগুলো দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যেন এসব দোকান পরিচ্ছন্ন রাখেন, সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিচালনা করেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’