1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রূপসায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত আশাশুনিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পানির ট্যাংক বিতরণ খুলনা দিঘলিয়ায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল  ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা কেশবপুরে জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল কেশবপুরে ১৮ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থী পেল সহায়তা ঈশ্বরগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, অভিযোগ স্বজনদের ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা,পানি আটকে ৫০/৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি দিঘলিয়ার মানবিক ইউএনও দ্রুতই করলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে সাময়িক ব্যবস্থা রংপুরে শ্যামাসুন্দরী খালের ড্রেজিং করার সিদ্ধান্ত

ঈশ্বরগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু, অভিযোগ স্বজনদের

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

শাহ আলম কৌশিক/ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল ইমিউন হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় মনজিলা খাতুন (৩৩) নামে এক প্রসূতি মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা।মঙ্গলবার দিবাগত রাতে প্রসব ব্যথা নিয়ে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নশতি গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী মনজিলা খাতুনকে ভর্তি করা হয় ইমিউন হাসপাতালে। বাড়িতে তিনি প্রথমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে হাসপাতালটিতে ভর্তি হলে দীর্ঘ সময় কোনো চিকিৎসক না আসায়, সেখানে আবারো নরমাল ডেলিভারিতে জন্ম নেয় আরেক পুত্র সন্তান।নবজাতকের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু তার আগেই প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি ঘটে এবং শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়।স্বজনদের দাবি, রাতভর হাসপাতালে চিকিৎসকরা মনজিলার কোনো খোঁজখবর নেননি। রক্ত দেওয়ার জন্য ভাই হাফেজ আব্দুস শহীদ হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও, কর্তৃপক্ষ জানায় রক্ত নেওয়া হবে সকালে। সেই সকাল আর দেখে যেতে পারলেন না মনজিলা খাতুন।হাফেজ আব্দুস শহীদ বলেন, ডাক্তারের অবহেলায়ই আমার বইন মারা গেছে। আমি রাতেই রক্ত দিতে চাইছি, ওরা বলে সকালে নেবে। আমার বইনের মৃত্যুর বিচার চাই।স্থানীয়দের অভিযোগ, এই হাসপাতালে এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরহাদ হোসেন, তার ছেলে ফয়সাল আরেফিন ও পুত্রবধূ গাইনী চিকিৎসক নাঈম সুলতানা সানী এই তিনজনই সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থায় গাফিলতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে অতীতেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, প্রভাবশালী হওয়ায় তা ধামাচাপা পড়ে যায়।ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ হাসপাতালটিতে উপস্থিত হয়।এ বিষয়ে ইমিউন হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. ফরহাদ হোসেন বলেন, চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়। আমার ছেলে সারারাত হাসপাতালে ডিউটিতে ছিল।ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, ইমিউন হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর বিষয় টি আমরা জেনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, ৯৯৯ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট