শাহ আলম কৌশিক/ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে নিরাপদ, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনায় রূপ দিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজস্ব অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ একাধিক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক,শিক্ষা অনুরাগী ও সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।সোমবার (২১ জুলাই) থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থানে বসানো হয়েছে মোট ৩০ টি উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা,যার মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রম থাকবে সর্বক্ষণিক নজরদারিতে। এছাড়া হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবন ও আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত লাইট স্থাপনের কাজো শুরু হয়েছে,যাতে রাতেও নিরাপদে চলাচল ও সেবা গ্রহণ করা যায়।ইঞ্জিনিয়ার মাজেদ বাবু বলেন,আমি মনে করি স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। এ হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য গরীব, অসহায়, মানুষ আসে সেবা নিতে। তাদের যেন কোনোরকম হয়রানির শিকার হতে না হয়,সে চেষ্টাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।তিনি জানান, তার উদ্যোগের প্রথম ধাপে ৪০ কেভিএর একটি জেনারেটরের মাধ্যমে অপারেশন থিয়েটার (OT),লেবার রুম ও ওয়ার্ডগুলোর বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে হাসপাতালের ল্যাব এবং সার্জিক্যাল কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে।
শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নেই থেমে থাকেননি এই সমাজসেবক নেতা। হাসপাতালের পরিবেশকে নেশাগ্রস্ত, দালাল ও অপরাধমুক্ত করতে তিনি দিয়েছেন কঠোর হুঁশিয়ারি। তিনি বলেন সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো মহিলা দালাল ও মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ। এদের প্রতিরোধ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জেল ও জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও সিলগালা করা হবে।
তিনি আরও বলেন,যেসব কোম্পানির দালাল রয়েছে, তারা সাবধান হোন।জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করার দিন শেষ। আপনাদের বিরুদ্ধে ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল প্রশাসনের দিকেও স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তিনি বলেন মাননীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, এই হাসপাতাল কোনো ব্যাক্তিগত মালিকানার জায়গা নয়,এটি ঈশ্বরগঞ্জ বাসীর। এর খাবার, ওষুধ ও সেবার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে ও জবাবদিহির আওতায় আসতে হবে। আপনি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ঠেকাতে চাইলেও আমরা জানিয়ে দিতে চাই সময়ের দাবি জবাবদিহি।
স্থানীয়রা এই পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক ও হৃদয়স্পর্শী বলে আখ্যা দিয়েছেন। হাসপাতালের এক রোগীর স্বজন বলেন আগে ভয়ে হাসপাতালের দিকে তাকাতাম, এখন আশায় তাকাই। আজকের উদ্যোগ আমাদের বিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে।নিউজের শেষে ইঞ্জিনিয়ার লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু জানান আমরা হাসপাতালে দৃশ্যমান পরিবর্তন চাই।
স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। এটি শুধু একটি কাজ নয়, এটি আমাদের অঙ্গীকার।