চয়ন চৌধুরী/সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আলীকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় প্রথম আলোর স্থানীয় সাংবাদিক সালেহ আহমদের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারে এ কর্মসূচি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতা মোখলেছুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো.নিজাম উদ্দিন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাসির মিয়া, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সেলিম মিয়া , রহিম বাদশা, মো. হাসেন মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রনি তালুকদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আল আমিন, বাদশাগঞ্জ কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম তপু প্রমূখ।বক্তারা বলেন, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আমলে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে থাকা সকল মামলা খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা বিচারাধীনও নেই। কিন্তু ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আলীকে জড়িয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে মর্মে “দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায়” এমন একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেন ওই পত্রিকার ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি সালেহ আহমদ। এমন ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদটি প্রকাশ সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মোহাম্মদ আলীকে হেও প্রতিপন্ন করায় আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সেলবরষ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী তার বক্তব্যে বলেন, সাংবাদিক সালেহ আহমদ আওয়ামী লীগের দোসর। সে আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমেদ মুরাদের পিএস ছিল। একটি ভাঙ্গা চালা ঘরে জন্ম নেওয়া সালেহ আহমদ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ টাকা কামিয়ে আজ নিজ বাড়িতে ও ময়মনসিংহে বাসা করেছে। তার বাড়িতেও গড়ে তোলেছে একটি গরুর খামার। প্রশাসন থেকে সে পার্সেন্টিস খায়। থানায় দালালি করে। ওসির সাথে বসে সিগারেটের আড্ডা জমায়। অবিলম্বে এই দালাল সাংবাদিক সালেহ আহমদকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি। মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ গ্রহণ করেন।