নিজস্ব প্রতিবেদক/রাজশাহীর তানোর এর বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্যন্ত পল্লীর গ্রামীণ জনপদের অধিবাসিদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষা বিস্তারে অনন্য অবদান রেখে আশছে চোরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়। বিভিন্ন প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই স্কুলটি গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ ভুমিকা রাখছে।অত্যন্ত মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশ গ্রামীণ জনপদের চোরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়েও শহরের মতো আধূনিক পাঠদান দেয়া হয়।তানোর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে চোরখৈর গ্রামে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির। গ্রামীণ পরিবেশ তবুও শহরের মতোই আধূনিক মানসম্মত পাঠদানের কোনো কমতি নেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। শহরের নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদানের যেসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ থাকে সেই সুযোগ-সুবিধা বা উপকরণ এখানে নাই। তবে পাঠদানের ক্ষেত্রে শহরের থেকে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই চোরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে একদল দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী। যারা বিষয় ভিত্তিক ও মানসম্মত আধূনিক পাঠদানের মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছেন।প্রধান শিক্ষক আইনুল হাসানের আন্তরিক প্রচেস্টা ও পরিচালনায় কমিটির, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহায়তায় স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভবনা তৈরী হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেস্টায় সম্ভব হচ্ছে শতভাগ উপস্থিতিতে টেকশই পাঠদান মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবক পর্যায়ে স্বপ্ন পুরণে উন্নত ও বাস্তব সম্মত শিক্ষার জন্য চলছে, প্রশিক্ষণ ও বিশ্লেষণ।জানা গেছে বিগত ১৯৯৭ইং সালে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরে কলমা ইউনিয়নের চোরখৈর গ্রামে এক একর জমির ওপর চৌরখৈর উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ইং সালে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ও ২০২২ সালে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত করা হয়। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি এখানো সহকারী প্রধান, আইসিটি ও লাইব্রেরিয়ান শিক্ষকের এমপিও হয় নাই। স্কুলের সীমানা প্রাচীর, মাঠ ও রাস্তা সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। স্কুলে ১১ জন শিক্ষক ও ৬ জন কর্মচারী এবং প্রায় ১৮০' জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষায় ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪ জন উত্তীর্ণ ও ১১ জন অকৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার শতকরা প্রায় ৮৫ শতাংশ।চোরখৈর স্কুলের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্যন্ত পল্লী গ্রামীণ জনপদের ছেলেমেয়েদের ঘরের পাশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। শহর বা গ্রাম বলে কোনো কথা নয়, প্রতিষ্ঠান প্রধানের সদিচ্ছা থাকলে যে কোনো স্থানে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখা যায়, চোরখৈর স্কুল তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত বিতর্ক প্রতিযোগীতা, চিত্রাঙ্কন, খেলা-ধূলা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়। এতে একদিকে শিক্ষার্থীরা যেমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয় অন্যদিকে সৃজনশীল ও মননশীল হিসেবে গড়ে উঠছে।স্কুলের অবকাঠামো, শিক্ষাপোকরণ, জনবল, শিক্ষার্থী ও পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল ধরে রেখেছেন।এবিষয়ে জানতে চাইলে চোরখৈর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আইনুল হাসান বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তারা মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে প্রাণপন চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের স্কুলে সীমানা প্রাচীর, মাঠ ও রাস্তা সংস্কার এবং কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার প্রয়োজন, পাশাপাশি তিনজন শিক্ষকের এমপিও হলে তারা শিক্ষা বিস্তারে আরো বেশী অবদান রাখতে পারবেন।