গোলাম কিবরিয়া পলাশ/হাসিনা বেগম ৩ কণ্যা সন্তানের জননী কাজ করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বসবাস করেন ময়মনসিংহ সদরের নিজকল্পা এলাকায়। কোন ছেলে সন্তান না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত অত্যাচার, নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছিলেন প্রতিবেশী প্রতিপক্ষের লোকজন দ্বারা কখনো প্রতিবাদ করেননি ভয়ে।হাসিনা বেগমের এই ভয় কে আরো কোনঠাসা করতে অবশেষে তার থাকার বসত বাড়িতে আগুন দিয়ে তাকে ভিটে ছাড়া করতে উঠে পরে লেগেছে স্থানীয় একটি চক্র। ভুক্তভোগী, নিরীহ হাসিনা বেগম এ ব্যাপারে বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, পূর্বশত্রুতার জের ধরে অভিযুক্ত মোঃ হুমায়ুন কবির (৪৫) পিতা মৃত কাদির মিয়া,হাবিবুর রহমান(১৯), পিতা হুমায়ুন কবির, গিয়াস উদ্দিন( ৫০) পিতা মৃত কাদির, জাকির হোসেন( ২০) পিতা রব্বানী সর্বসাং- নিজকল্লা, খাগডহর ইউপি, থানাঃ কোতোয়ালী, জেলাঃ ময়মনসিংহ সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করে আমাকে বাড়িছাড়া করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে।গত ১৪/০৭/২০২৫ইং তারিখে বিবাদীগন দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমার বসত বাড়ীতে এসে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। অভিযুক্ত গন আমার বাড়ীর চারদিকের বাউন্ডারী টিনের বেড়া কুপিয়ে আমার ক্ষতি সাধন করে।পরবর্তীতে আমি আমার স্বামী সাইফুল ইসলাম অসুস্থ্য থাকার কারনে গত ১৬/০৭/২০২৫ইং তারিখে চরপাড়া বাসা ভাড়া নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার স্বামীর চিকিৎসা নিচ্ছি।আমি সহ আমার স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুবাধে বিবাদীগন গত ২৫/০৭/২০২৫ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৩.০০ টা হইতে ৪.০০ টার মধ্যে অভিযুক্তরা আমার বসত বাড়ীর তালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে স্ট্রিল এর আলমারী তালা ভেঙ্গে সকল স্বর্ণা অলংকার- যার ওজন- ১ ভরি, আনুমানিক মূল্য-১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, রুপার চেইন ও নূপুর- যার ওজন- ৩ ভরি, আনুমানিক ৭,৫০০/- (সাত হাজার পাচশত) টাকা সহ নগদ ৬০,০০০/- (যাট হাজার) টাকা নিয়ে আমার বসত ঘরের ভিতরে আগুন লাগিয়ে দিলে ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে গিয়ে আনুমানিক ১,৮০,০০০/- (এক লক্ষ আশি হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে।আমার ভাশুর এমদাদুল হোসেন খোকন আমার বসত ঘরে আগুন দেখে আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়।খবর পেয়ে আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আগুনে আমার সর্বস্ব পুড়ে গেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হাসিনা বেগম সঠিক বিচারের আশায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ এর সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার এস,আই মুস্তাফিজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।