তানিম খান/নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পল্লীবিদ্যুতের ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে নিরব (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী। চিকিৎসাধীন থাকার কারণে সে সোমবারের (২৮ জুলাই) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। মর্মান্তিক এ ঘটনায় শিক্ষার্থীটির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার পরিবার।ঘটনাটি ঘটে চাঁনগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিরব ওই গ্রামের আয়াতুল মিয়ার ছেলে। সে মদন সরকারি হাজি আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রি কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বোনের বিয়ের দাওয়াত দিতে পাশের গ্রামে যাচ্ছিল নিরব। পথিমধ্যে একটি পাটক্ষেতের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে পড়ে থাকা পল্লীবিদ্যুতের ছেঁড়া লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে সে সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।নিরবের বাবা আয়াতুল মিয়া জানান, “আমার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে গিয়েই ছেলের জীবনে এমন দুর্বিষহ ঘটনা ঘটেছে। বহুবার জানানো সত্ত্বেও পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমার ছেলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্ঘটনার স্থানটিতে ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার অন্তত দুই-তিন দিন ধরে পড়ে ছিল। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসকে বারবার জানানো হলেও তারা যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়নি, যা চরম অবহেলার পরিচায়ক।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মদন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “নিরব নামের একজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। তার চিকিৎসার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ছেঁড়া তার মেরামত করা হয়েছে।