আব্দুর রশিদ /আশাশুনি উপজেলার মানিক খালি ব্রিজ টু বড়দল মেইন সড়কের ফকরাবাদ গার্লস স্কুলের সামনে রোডস এন্ড হাইওয়ে সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখাগেছে, দক্ষিণ খুলনার ঐতিহ্যবাহী বড়দল হাটের চলাচলের একমাত্রই রাস্তা এটি। রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ভ্যান, ইঞ্জিনভ্যান, নসিমন ও করিমনে মানুষ জাতোয়াত করে। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে আশাশুনির সংযোগস্থল পাইকগাছা, কয়রা তালা, শ্যামনগর, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা জেলা ও খুলনা বিভাগের যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করে থাকে। মানিকখালী ব্রিজ টু বড়দল রোডস এন্ড হাইওয়ে রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৭কিলোমিটার। এরমধ্যে জামালনগর ফুলতলার সামনে, ফকরাবাদ পাউয়ার হাউস ও বুড়িয়া হাসপাতালের সামনে পিচের রাস্তার ওপরে ইট দিয়ে দ্বিতল ভবনের মত রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটা ইতিপূর্বে আজব রাস্তা হিসেবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হয়েছে। স্টাটার আকরাম হোসেন জানান, মানিকখালী ব্রিজ টু বড়দল সড়কের প্রায় ১০০জায়গায় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। বাস চলাচলে খুবই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের চলাচলের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতিদিন ধাক্কা এবং ইটের খোয়া লেগে বাসের গ্লাস ভেঙে যাচ্ছে। সুব্রত মন্ডল ও ভগিরথ মন্ডলসহ রাস্তার পার্শ্ববর্তী অসংখ্য নারী-পুরুষ এবং পথযাত্রী জানান, প্রতিনিয়ত এখানে বিভিন্ন যানবাহন বড় বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এমন কোন দিন নেই রাস্তার যাত্রীদের মাথায় পানি ঢেলতে হয় না। গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সনাতন বৈরাগী জানান, বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা বড় ধরনের গর্ত হয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ির জ্যাম লেগে থাকে। এই বিদ্যালয় মোট ১৩২জন ছাত্রী রয়েছে। যাদের পাঠদানে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী ট্রাক জ্যাম লেগে বিদ্যালয়ের প্রাচীরে ধাক্কা দেয় যে কোন মুহূর্তে বিদ্যালয়ের প্রাচীর ভেঙে যেতে পারে বলে ধারণা করেছে তিনি। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মিতা মন্ডল জানান, আমার বিদ্যালয় ২০০ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে এর মধ্যে ১৭০জন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। স্কুলে জাতোয়াতের পথে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে হয়তো অল্প কিছু দিনের মধ্যে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাতক্ষীরা রোডস এন্ড হাইওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় রাস্তা খানাকান্দে পরিণত হয়েছে। বিষয়টা আমি জানতাম না। আপনি বলেছেন, আজকেই লোক পাঠানো হবে দুই-তিন দিনের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। চরম ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।