চয়ন চৌধুরী/সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের আলোচনায় যেতে গিয়ে হাওরে নৌকাডুবিতে শিশুসহ ২ জন নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২৪ ঘন্টা পর শামসুদ্দিন(৬০) নামে নিখোঁজ ঘটকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরের মাগুরিয়া নামক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় বিয়ের ঘটক শামসুদ্দিনের মরদেহটি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে।এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকাযোগে একই উপজেলার মহেশপুর গ্রামে যাওয়ার পথে ধারাম হাওরের মাঝামাঝি ঝড়ো বাতাসে ঢেউয়ের কবলে পড়ে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় নৌকার মাঝিসহ ৭জনের মধ্যে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ৫ জনকে তাৎক্ষণিক জীবিত উদ্ধার করা হলেও বিয়ের ঘটক শামসুদ্দিন ও নুসরাত জাহান নামে ৭ বছর বয়সের এক কন্যাশিশু নিখোঁজ ছিল।উদ্ধারকৃত নিহত ঘটক শামসুদ্দিন উপজেলা সদর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে। আর নিখোঁজ শিশু নুসরাত জাহান একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী কান্দাপাড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার মেয়ে।রবিবার দুপুর ১২টায় ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।পুলিশ, দমকল বাহিনী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কনে দেখাসহ বিয়ের আলোচনা করার জন্য শনিবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার ধারাম হাওরের তীরবর্তী কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে ছোট একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে একই উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নৌকার মাঝিসহ ৭জন রওনা দেন। পরে তাদের ওই নৌকাটি ধারাম হাওরের মাঝামাঝি যাওয়ার পর আকস্মিক ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকাটি সেখানে ডুবে যায়। এসময় ওই হাওরে নৌকাযোগে মাছধরারত জেলেরা বিষয়টি টের পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবে যাওয়া নৌকার মাঝিসহ ৫জনকে হাওরের পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করতে পারলেও বিয়ের ঘটক শামসুদ্দিন আহমেদ ও শিশু নুসরাত জাহান নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, ধর্মপাশা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ও ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিনভর চেষ্টা করেও নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় রবিবার সকাল দশটার দিকে স্থানীয় জেলেরা নৌকাযোগে ধারাম হাওরের মাগুরিয়া নামকস্থানে মাছ ধরতে গিয়ে সেখানে ঘটক শামসুদ্দিনের ভাসমান মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে ঘটক শামসুদ্দিনের মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ধারাম হাওরের মাগুরিয়া নামক স্থান থেকে নিখোঁজ ঘটক শামসুদ্দিন আহমেদের ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি নিখোঁজ শিশু নুসরাত জাহানকেও উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।