তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি/রাজশাহীর তানোরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করারই স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী পুলিশের এসআই কারাগারে।পুলিশের এসআই কাউসার আলী বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার ময়েনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।জানা গেছে, রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্ঘাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে আনিসা ইসলাম তৃপ্তি (২১) বাদি হয়ে স্বামী কাউসার আলীসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন কাউসার এর পিতা রফিকুল ইসলাম ও মাতা তহমিনা বেগম। যাহার মামলা নম্বর-১০৩/২০২৪(তানোর)।গত ১-সেপ্টেম্বর (সোমবার) কাউসার আলী আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে জামিন আবেদন করেন। কিন্ত্ত আদালত তার জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিগত ২০২২ সালের ২৯-জুলাই ময়েনপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রুবেলের কন্যা তানিসা ইসলাম তৃপ্তির (২১) সঙ্গে একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে, কাউসার আলীর বিবাহ হয়। তাদের ঘরে দেড় বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্ত্ত বিবাহ পরবর্তী সময়ে জামাই এসআই কাউসার আলী যৌতুক বাবদ তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় এবং তারা প্রায় ৪ মাস ভালোভাবে ঘর- সংসার করে। তারপরেও কাউসার আলীর নির্দেশে তার পিতা-মাতা তৃপ্তিকে বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক বাবদ আরো পনের লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকে। তা না হলে তৃপ্তির বাবার ১০ বিঘা জমি ভোগ দখল করতে দিতে হবে এবং গ্রামে পাকা বাড়ি তৈরী করে দিতে হবে। বলে নানা ভাবে চাপ দেন।এদিকে তৃপ্তি ঘটনা তার পরিবারকে জানালে তার পিতা রবিউল ইসলাম তার জামাই কাউসার আলীকে নিয়ে তার পিতা-মাতার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানেও তৃপ্তির বাবা রবিউল ইসলামকে যৌতুক হিসেবে পনের লাখ টাকা দিতে চাপ দেয়া হয়। কিন্ত্ত রবিউল যৌতুকের এতো টাকা দিতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এর পর থেকেই কাওসার আলী তার স্ত্রী তৃপ্তিকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্ঘাতন করতে থাকে, এক পর্যায়ে তৃপ্তিকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।প্রসঙ্গত, বিগত ২০২৪ সালের ২-আগস্ট ভিকটিমের পিতা প্রভাষক রবিউল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে এসআই কাউসার আলীসহ তিনজনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত এজাহার করেছিলেন। কিন্ত্ত থানা মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।