আব্দুর রশিদ/আশাশুনিতে সরকারি খাল জবর দখল করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী মিলন মোল্যার গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় উত্তর বাইনতলা পুরানো জামে মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাইনতলা, মাদিয়া, লক্ষী খোলা ও বড়দল গ্রামের পানিবন্দি বাইনতলা গ্রামের শত শত মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ, রিজিয়া খাতুন, আনারুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, রেবেকা খাতুন, আবু হানিফ মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে
বড়দল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের ছত্রছায়ায় তার ছোটভাই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মিলন মোল্যার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে ছিলাম। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সে সময় থেকেই মিলন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে চেউটিয়া খাল প্রায় ৬০০ বিঘা দখল করে ইচ্ছে মতো ভাগ বাটোয়ারা করে রেখেছে। বড় অংকের টাকার বিনিময়ে সে সরকারি খালে নেটপাটা ও আড়াআড়ি মাটির বাঁধ দিয়ে ভাগ বন্টন করে দিয়েছে। এর ফলে এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে উত্তর বাইনতলা গ্রামের শত শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। গত ১৫ দিন আগে পানিবন্দি এলাকার সাধারণ মানুষ খালের নেটপাটা অপসারণ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিলন মোল্যা নিজের দোষ ঢাকতে বড়দল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাঁদা না দেয়ায় তার ঘের লুটপাট করা হয়েছে বলে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। বক্তারা আরও বলেন, মিলন মোল্যা তার নিজ বাড়ির সামনে একটি সুপেয় পানির প্লান্ট বন্ধ করে তার মোটর দিয়ে নিজের মৎস্য ঘেরে পানি উত্তোলন করে। এছাড়া উক্ত প্লান্টের বিদ্যুৎ বাড়িতে ব্যবহার করে। শুধু মিলন বাহিনীর কারণে কয়েক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। অধিকাংশ কৃষক ধান চাষ করতে পারছে না। তাই সন্ত্রাসী মিলনকে গ্রেপ্তার ও সরকারি খাল উন্মুক্ত করে জনস্বার্থে কৃষকদের বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসী।