শাহ আলম কৌশিক(ঈশ্বরগঞ্জ,ময়মনসিংহ)ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। প্রকাশ্যে দিনের আলোয় রাইসমিল ঘর ভাঙচুর, রাইসমিল লুটপাট, নারীকে হত্যার চেষ্টা সব মিলিয়ে গ্রামজুড়ে এখন আতঙ্ক আর ক্ষোভ।রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউরি গ্রামে এ তাণ্ডব চালানো হয়। ভুক্তভোগী নাউরি গ্রামের নূরুল ইসলাম (৬৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পাঁচজনকে আসামি করেছেন। এদের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মৃত্যু ছামছু উদ্দিনের ছেলে দুলাল মিয়া (৫২)।অভিযোগে জানা যায়, ওইদিন দুপুরে দুলাল মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দা,কুড়াল,শাবল, কুদাল,হাতুড়ি,করাত ও লাঠিসোটা হাতে নিয়ে নূরুল ইসলামের পৈতৃক জমিতে হামলা চালায়। মুহূর্তের মধ্যেই তারা রাইসমিল ঘর ভেঙে যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়,রাইসমিল ঘরের টিন ভাঙচুর করে পরিবারের সবাইকে হত্যার হুমকি দেয়।সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন নূরুল ইসলামের ছেলের বউ লিমা আক্তার ভাঙচুরে বাধা দেন। অভিযোগ আছে, হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাড়া করে। প্রাণ বাঁচাতে লিমা আক্তার দৌড়ে ঘরে আশ্রয় নেন। এসময় হামলাকারীরা চিৎকার করে বলে তোর প্রাণ রাখবো না। এতে পুরো পরিবার চরম ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।ঘটনার পর সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, রাইসমিলের ভাঙা যন্ত্রাংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ভিটেতে থাকা ইট খুলে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন। অন্যদিকে, সেই জায়গায় নতুন পাকা ঘর তুলতে ব্যস্ত দেখা যায় অভিযুক্ত দুলাল মিয়াকে।অভিযোগকারী নূরুল ইসলাম বলেন,এটা আমার পৈতৃক জমি। এখানে বহু বছর ধরে রাইসমিল চালাচ্ছি। রবিবার দুলাল লোকজন নিয়ে প্রকাশ্যে আমার রাইসমিল ঘর ভাঙচুর, মিল লুট করেছে। এখন পরিবার নিয়ে আতঙ্কে আছি। রাতে ঘুমোতে পারি না।অভিযুক্ত দুলাল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান,মিলটা আমার জায়গায় ছিল। তাই আমি ভেঙে নিয়েছি।এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।