আব্দুর রশিদ/বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখার উদ্যোগে “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দুঃশাসনে সাতক্ষীরা জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন” শীর্ষক একটি সেমিনার সকাল ১১টায় মুন্সিপাড়াস্থ আল-আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহর শাখার সভাপতি মুহা. আল মামুন এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মেহেদী হাসান। সেমিনারে আওয়ামী লীগের বিগত ১৬ বছরের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন, হামলা, হত্যা, গুম, মিথ্যা মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরা হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার সম্পাদক মোঃ সিফাত উল আলম। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে দেশ আজ একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা,রাজনৈতিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা আজ চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। ছাত্রশিবিরের শত শত কর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,শহীদ হয়েছেন,কেউ কেউ আজো নিখোঁজ।তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তিনটি দাবি উত্থাপন করেন,প্রত্যেক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জড়িতদের শাস্তি ও সুস্থ তদন্ত করে বিগত ফ্যাসিজম আমলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের পুলিশ ব্যবস্থাকে সংস্কার করা যেন তারা কোন দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হতে পারে।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তালেব, আব্দুল গফুর ও আনিসুর রহমান।নির্যাতিত পরিবার ও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন শহীদ আবু হানিফ ছোটনের পিতা শহর আলী, সাবেক কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক আমিনুর রহমান এবং স্পোর্টস সম্পাদক আল আমিন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শহর শাখার অফিস সম্পাদক নুরুন্নবী, জেলা সেক্রেটারি নাজমুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক আবু সালেহ সাদ্দাম, এইচআরডি সম্পাদক আল রাজীব, প্রকাশনা সম্পাদক হাফেজ আনিসুর রহমান, দাওয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহা. শারাফাত হুসাইন লিটিল, গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, তথ্য ও মিডিয়া সম্পাদক মুহা. মাসুদ রানা, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রচার সম্পাদক হাফেজ ওয়ালীউল্লাহ, বিতর্ক সম্পাদক মোর্শেদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক আতিক মুজাহিদ, মাদ্রাসা সম্পাদক শাহনেওয়াজ এবং মানবসেবা সম্পাদক শামীম হোসেন।সেমিনারে বক্তারা আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে নির্যাতন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।