1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায় ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু সাংবাদিক মোস্তফা কামালের পিতার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া আশাশুনিতে ৭ ডিসেম্বর আশাশুনি মুক্ত দিবস পালিত ধর্মপাশায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একজনের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ধর্মপাশায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একজনের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আশাশুনির বড়দলে রবিউল বাশারের গণসংযোগ, মহিলা সমাবেশ, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ভাটা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ধর্মপাশার সাবেক উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী আর নেই কেশবপুরে অস্ত্র-গুলি,গাঁজা ইয়াবাসহ ৪জন গ্রেফতার

মাগুরায় ওএমএসের ৭৭ মেট্রিক টন চাল গায়েব,প্রশাসন নীরব

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

মাগুরা প্রতিবেদক/মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলায় খোলাবাজারে টিসিবির কার্ডধারী কাছে বিক্রির ওএমএস খাতের বরাদ্দকৃত ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫ হাজার ৫৬৭ জন উপকারভোগী টিসিবির কার্ড ধারীদের অনুকূলে পরিবেশক হোসেনিয়া কান্তা ঋতুর নামে প্রতিষ্ঠানকে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয় মহাম্মদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে। এই উপজেলার আটটি ইউনিয়নে হতদরিদ্র কার্ডধারীরা কেউই সেই চাল পাননি। গত এক মাস পেরিয়ে গেলেও পরিবেশকের (ডিলার) বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা। এ কাজে পরিবেশকের নাম জড়িত থাকলেও উপজেলা প্রশাসন এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ এখনো নিশ্চুপ। এদিকে ওএমএস ডিলার থেকে চাল না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন আট ইউনিয়নের আট জন টিসিবির পরিবেশক। পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়েছে। অথচ তদারকি (ট্যাগ) অফিসার জানেন না বিতরণ হয়েছে কি না। তবে, তিনি কাগজপত্র স্বাক্ষর করে দিয়েছেন।খাদ্য অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, পরিবেশক ওএমএস নীতিমালা-২০১৫ সংশোধিত-২০২৫ আইনে দেখা যায়, ঘাটতি বা আত্মসাৎ করলে পরিমাণকৃত চালের সরকারি মূল্যের দ্বিগুণ হিসাবে সোনালী ব্যাংকে ট্রেজারির চালানোর মাধ্যমে জরিমানার বিধান রয়েছে। কোনো প্রকার জরিমানার টাকা না দিলে নোটিস ছাড়াই পরিবেশকের ওএমএসের লাইসেন্স বাতিল করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও পরিবেশককে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, জেলা খাদ্য বিভাগের চিঠিতে ১৫ মে, ২০২৫ তারিখে ১৪১ নম্বর স্মারকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খাতের চার উপজেলার মোট বরাদ্দের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছিল মোহাম্মদপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। অফিস রেজিস্টারে দেখা যায় গত জুলাই মাসে ওএমএস পরিবেশক হোসেনিয়া কান্তা ঋতু স্বাক্ষরিত সরকারি গোডাউন থেকে ৫২ কেজির ১ হাজার ৫৩ বস্তা এবং ৩০ কেজির ৮৫৬ বস্তার ৭৭ দশমিক ৮৩৫ মেট্রিক টন ২৬ টাকা দরে চাল উত্তোলন করে। এই চাল ৮ ইউনিয়নের ৮ জন টিসিবির পরিবেশকের মাধ্যমে তদারকি (ট্যাগ) অফিসারের উপস্থিতিতে হতদরিদ্র উপকারভোগী প্রতি কার্ড ধারীদের কাছে ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল বিক্রয় করার নিয়ম। এ নিয়ে ৮ ইউনিয়নের ৮ ডিলারের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিবেদক। এর মধ্যে ছয় জন টিসিবির পরিবেশক জুলাই মাসের বরাদ্দকৃত চাল না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও বিনোদপুর এবং দীঘা ইউনিয়নের দুইজন পরিবেশক চাল পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। অনুসন্ধানে এই দুই ইউনিয়নের কার্ড ধারীরা চাল না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একাধিক উপকারভোগীরা বলছেন, টিসিবির ডিলারদের কাছ থেকে তেল, চিনি, ডাল পেলেও চাল পাননি।রাজাপুর ইউনিয়নের পারুল নামের এক ভুক্তভোগী জানান, জুলাই মাসে তেল, চিনি, ডাল পেলেও চাল পাননি। চাল নেই কেন জানতে চাইলে পরিবেশক উপকারভোগীকে বলেন চালের বরাদ্দ নেই। একই অভিযোগ করেছেন, শরিফা নামের আরেক ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, কার্ডে চাল না পেয়ে ১০০ টাকা বেশি দিয়ে বাজার থেকে কিনতে হয়েছে। দীঘা ইউনিয়নের ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ‘আগের সরকারের সময় গরিবের চাইল নিয়ে ফাঁকি বাজি হতো কিন্তু এহনও চলতিছে’।রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনুস আলী বলেন, জুলাই মাসে উপকারভোগীরা চাল কিনতে পারেননি, কারণ ডিলাররা বলেছে বরাদ্দ ছিল না।মহাম্মদপুর উপজেলা ওএমএস পরিবেশক হোসেনিয়া কান্তা ঋতুর স্বত্বাধিকারী নূর মোহাম্মদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার রিং হলেও রিসিভ করেননি। এমন কি খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।পরিবেশক সান্টু সাহা বলেন, গত জুলাই মাসে চালের বরাদ্দ আমরা পাইনি। তবে অফিস বলেছে, জুলাই মাসের চাল দেওয়া হবে।মহাম্মদপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) প্রদীপ লস্কর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, জুলাই মাসের বরাদ্দকৃত চাল টিসিবির ডিলাররা কার্ড ধারীদের কাছে বিক্রয় করেছে কি না মনে পড়ছে না। তবে, ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে এবং কাগজপত্র দেখে জানাতে পারব। তবে সই করে দিয়েছি মনে হয়।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মজনুর রহমান বলেন, আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা জুলাই মাসের বরাদ্দকৃত চাল ওএমএসের ডিলারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আপনার অভিযোগের ভিত্তিতে আমি পরিবেশককে ডেকে টিসিবি ডিলারকে চাল দেওয়ার প্রমাণাদি হাজির করতে বলেছি। অসংগতি পেলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইন মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোহাম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর আক্তার জানান, ‘আমার জানামতে সব চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এরপরও কোনো অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।’

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট