পরেশ দেবনাথ(নিজস্ব প্রতিনিধি)যশোরের কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে। এ উদ্যোগের ফলে কুকুর, বিড়াল ও হনুমানের কামড়ে আহত রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পাবেন।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলাতঙ্ক রোগের দুই'শ পিচ ওই অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলমগীর-এর নিকট প্রথম কিস্তির ২০০ পিচ অ্যান্টি- র্যাবিস ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী নাজিমুল হক এবং বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।উল্লেখ্য, কেশবপুর উপজোলায় বিড়াল, বিরল প্রজাতীর কালোমুখ হনুমান এবং বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত রোগীর ব্যাপক চাপ রয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে ৪০এর অধিক কুকুর ও হনুমানের কামড়ে আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। সরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় ভুক্তভোগী রোগীদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। বিষয়টি কেশবপুর উপজেলার মানবিক নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুনের দৃষ্টি গোচর হলে তিনি উপজেলা পরিষদ ও কেশবপুর পৌরসভার অর্থায়নে এই অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগী-এর নিকট ২০০ পিচ অ্যান্টি-র্যাবিস ভ্যাকসিন হস্তান্তর করা হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, কুকুর, বিড়াল ও হনুমানের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৬৬ জন ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক এই অ্যান্টি- র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।কেশবপুর উপজেলার এই মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা রেখসোনা খাতুন ইতমধ্যে বিভিন্ন জনহিতকর কাজ করে কেশবপুর উপজেলায় সাধারণ মানুষের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন।