চয়ন চৌধুরী/সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।এছাড়াও তিনি আওয়ামী লীগের লোকজকে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে স্থান দেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছে তৃনমুল বিএনপির নেতা কর্মীরা।সুজন মিয়া তার লোকজন দিয়ে তৃনমূলের ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে গোপনে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে নিজের দোষ ঢাকার জন্য। ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন ও গোপন সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন।৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আবুল কাসেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুজন একজন চিহ্নিত আওয়ামী দালাল ও প্রতারক। তিনি বিএনপিকে ধ্বংস করতে টাকার বিনিময়ে ওয়ার্ড কমিটিতে যুবলীগের পদধারী অনেককেই কমিটিতে ঢুকিয়েছেন। এছাড়াও সুচতুর সুজন মিয়া আমাকে সহ আরো অনেককেই তিনি কৌশলে এডিট করে যুবলীগের কমিটিতে নাম ঢুকিয়েছে, যাতে করে ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে দূরে রাখা যায়।একই ওয়ার্ডের ইসলাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, সুজন আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে কমিটিতে রাখবে বলে।পাশের ওয়ার্ডের খায়রুল বলেন, সুজন আমার কাছ থেকেও ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিল পদ দেওয়ার কথা বলে। পরে বেশি টাকা পেয়ে অন্যজনকে সেই পদ দিয়েছে। পরে আমি অনেক চেষ্ঠার পর তার কাছ থেকে আমার টাকা উদ্ধার করেছি।ধানের শীষের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম বলেন, আহবায়ক সুজন আওয়ামী লীগের দোসর। আমার নির্বাচনে তিনি ধানের শীষের হয়ে কাজ করেননি, বরং বিরোধিতা করেছিলেন।উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সুজন মিয়া কৌশলে বিএনপির বড় ক্ষতি করছে। সে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি করেছে। এ ছাড়াও তিনি টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের পদ পদবী দিয়েছেন। এমন প্রমাণও আমাদের কাছে অনেক রয়েছে।৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জুলহাস ও গুলেনুর বলেন, সুজন অতীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল। এখন আওয়ামী অনুসারী সাংবাদিকদের ব্যবহার করে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।তারা বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, প্রকৃত বিএনপির কর্মীরা এই ষড়যন্ত্রে বিভ্রান্ত হবে না। বিএনপি সবসময় ঐক্যবদ্ধ থেকে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে এবং চালিয়ে যাবে।বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিএনপি নেতাকর্মীরা অবিলম্বে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবেদন প্রত্যাহার এবং আওয়ামী দালাল সুজন মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।এ ব্যাপারে বংশকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুজন মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম মজনু বলেন, তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে কমিটি দেওয়া ও আওয়ামী লীগের লোকজন কমিটিতে স্থান দেওয়ার অনেক অভিযোগ শুনেছি। তবে এসব বিষয়ে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।