নিজস্ব প্রতিনিধি/কুষ্টিয়ায় পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শণিবার (১৪ জুন-২৫) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চিলিস রেস্টুরেন্টের হলরুমে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং এফসিডিও’র অর্থায়নে কুষ্টিয়া পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)-এর ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মূল বক্তব্য সমন্বয় করেন, এলাকা সমন্বয়কারী এস. এম রাজু জবেদ ও মাঠ সমন্বয়কারী মোঃ আশরাফুজ্জামান।জেলা বিএনপির প্রবীণ সদস্য মোঃ মিরাজুল ইসলাম রেন্টু-এর সভাপতিত্বে এবং পিস অ্যাম্বাসেডর আব্দুল মান্নান বাদশা-এর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিস অ্যাম্বাসেডর মোঃ মনজুরুল ইসলাম ডাবলু, বনানি বিশ্বাস, মোঃ আসাদুজ্জামান, এনসিপির কে এম আর শাহীন, সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা, মিজানুর রহমান লাকি, জাকের আলী শুভ, ওয়ার্কাস পার্টির এসরারুল হক, তাজনিহার বেগম, জাসাস সভাপতি ইমরান আহম্মেদ সঞ্জু, আবু হেনা মোহা. গোলাম রসুল বাবলু, ওয়াইপিএজি সমন্বয়কারী সাদিক হাসান রহিদ, রাজিউদ্দিন আহম্মেদ শাহী, জামায়াত ইসলামী ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় উঠে আসে ত্রিমোহিনী দাশপাড়ায় একটি মেয়েকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ঘটনা। এতে উপস্থিত সদস্যরা ঐ এলাকায় একটি জাতিগত পিস ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, যার সমন্বয় করবেন, তাজনিহার খাতুন ও ফারজানা ববি রুমা। বড়িয়া ও বটতলি ইউনিয়নে পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ পিস ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে শরিফুজ্জামান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করবেন।আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং পিস ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। শ্রমিকদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয় এবং তা প্রতিরোধে প্রতিনিধি দল গঠন করে জেলা পুলিশ ও থানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে রেজাউল করিম রেজা, মিজানুর রহমান লাকি, মামুনুর রশিদ, আব্দুল মান্নান বাদশা এবং অধ্যাপক শফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।সভায় রাজনৈতিক বিভক্তি নিরসনে আন্তঃদলীয় সংলাপ, জাতীয় যুব দিবস উদযাপন, এবং স্থানীয় যুব সমাজকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার উপরও জোর দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, পিএফজি সদস্যরা ইতোমধ্যেই অনেক সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ মিরাজুল ইসলাম রেন্টু বলেন, “দি হাঙ্গার প্রজেক্ট পিএফজি সদস্যদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ও সচেতন করে তুলেছে। তারা বর্তমানে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছেন, যা শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে বড় ভূমিকা রেখেছে।