প্রবাসী হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।শনিবার (২১ জুন) সকালে উপজেলার গাংধোয়ারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হেলাল উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে।তিনি প্রবাসী হাবিবুল্লাহ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি। এর আগে একই মামলায় কফিল উদ্দিন ও কুরফুলা বেগম নামে আরো দুজনকে গ্রেফতার করে পাকুন্দিয়া থানা-পুলিশ।নিহত হাবিবুল্লাহ একই গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে। তিনি একজন প্রবাসী। নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী নিলুফা আক্তার বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৬জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।শনিবার (২১ জুন) সকালে হত্যা মামলার প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিনকে এলাকায় দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এ সময় উত্তেজিত এলাকাবাসী হেলাল উদ্দিনের বাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে।প্রসঙ্গত, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে একই এলাকার হাবিবুল্লাহ ও হেলাল উদ্দিনের পরিবারের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত শুক্রবার জুমার নামাজে যাওয়ার পথে হাবিবুল্লাহর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় প্রতিপক্ষের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন হাবিবুল্লাহ। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত দুজনকে আটক করে হেফাজতে নেয়।পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।