খান আরিফুজ্জামান(নয়ন)খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কোমলপুর গ্রামের হতদরিদ্র ও অসহায় রেবেকা বেগম (৩৭) কে ধষর্ণের পর হত্যাকারীকে গত ১ মাসেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ধর্ষক ও খুনী উপজেলার বান্দা গ্রামের প্রদ্যুৎ বিশ্বাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল ৫ টায় স্থানীয় এলাকাবাসী রেবেকা হত্যার বিচার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে কোমলপুর ও গুটুদিয়ার সংযোগস্থল গাজীর মোড়ে এ প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন করেছেন।মোঃ শহিদুল ইসলাম মোড়ল এর সভাপতিত্বে ও মাহবুবুর রহমান পিকুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করে বলেন, বান্দা গ্রামের জৈনিক রনি বিশ্বাসের ছেলে প্রদ্যুৎ বিশ্বাস রেবেকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে।এ ঘটনা জানাজানির ভয়ে ও ধাপাচাপা দিতে রেবেকাকে হত্যা করে। গত ২২জুন প্রদ্যুৎ বিশ্বাসের মাছের ঘের থেকে থানা পুলিশ রেবেকার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রেবেকার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ মামলার একমাত্র আসামী প্রদ্যুৎ বিশ্বাস কে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন। সমাবেশে সংহতি জানায় বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি ও কোমলপুর সমাজ সংঘের নেতৃবৃন্দ।সমাবেশে বক্তব্য দেন,মাষ্টার শফিকুল আলম,বাংলাদেশ জামায়েত ইসলাম গুটুদিয়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ আল আজাদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ মোশারফ হোসেন মোনায়েম,বাংলাদেশ হিন্দু-বৈদ্ধ্য ঐক্য ফ্রন্ট খুলনা জেলার সভাপতি নিত্যনন্দ মন্ডল,নিজেরা করি সংগঠন খুলনা বিভাগীয় সভাপতি পবিত্র চন্দ্র সরকার,ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হিমাংশু বিশ্বাস,সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ জিএম সাইকুল ইসলাম,সমাজসেবক পরিতোষ বালা,সাবেক ইউপি সদস্য প্রতীশ বৈরাগী,ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান,সমাজসেবক ও রাজনীতিবীদ খান জিয়াউল হক জীবন,ইউপি সদস্য ইজ্জত মোড়ল,লোকেশ কবিরাজ প্রমুখ।উল্লেখ্য গত ২২ জুন রেবেকা হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানায় মামলা রুজু হলেও ১ মাস পার হলেও অপরাধীদের কেহ এখনো গ্রেফতার হয়নি উপস্থিত বক্তারা রেবেকা হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে প্রশাসনকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন অবিলম্বে আসামী গ্রেফতার না হলে তারা পর্যায়ক্রমে আরোও কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবেন।