শাহ আলম কৌশিক/ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ৩নং সরিষা ইউনিয়নের সরিষা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বৈরাটি সোহাগী যাওয়ার প্রধান সড়কের মাঝখানে কালভার্ট ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। এই ভাঙা কালভার্ট এখন যেন একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও পথচারীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছেন।স্থানীয়রা জানান, কালভার্টের ভাঙার মূল কারণ হলো ৫১ নং সরিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবনের নির্মাণকাজ। ভবন নির্মাণ সামগ্রীবাহী ট্রাকগুলো ধারাবাহিকভাবে অতিরিক্ত ভার বহন করে এই রাস্তায় চলাচল করায় কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। কালভার্টটির ধারণক্ষমতার চেয়ে বহুগুণ ভারি মালবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে এতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়, যার ফলে রাস্তার মাঝখানে চলাচলে বিপদসংকুল অবস্থা তৈরি হয়েছে।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো যানবাহনের চাকা বা পথচারীর পা গর্তে আটকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যালয়গামী ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা। সকাল ও বিকেলে তারা এই ভাঙা কালভার্ট পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে, যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে অভিভাবকরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক হাফিজা বেগম বলেন, আমার ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। আমি চরম দুশ্চিন্তায় থাকি। কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না।এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভবন নির্মাণকারী কনট্রাক্টরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও, তিনি শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, এই সামান্য রাস্তা ঠিক করে দিবো কিন্তু কথার একমাস পেরিয়ে গেলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।স্থানীয়রা জানান, এটা শুধু রাস্তার ক্ষতি নয়, জননিরাপত্তার বড় হুমকি। দ্রুত সংস্কার না করলে প্রাণহানির মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলী, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।তারা বলেন, আমরা ইউনিয়নের বিরোধিতা করি না, কিন্তু কোনো কাজের কারণে মানুষের জীবনের ঝুঁকি বাড়লে তা মেনে নেওয়া যায় না। তাই স্থানীয়দের একটাই দাবি দ্রুত সংস্কার না করলে তারা বাধ্য হয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামবেন।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা রহমান বলেন,উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি (LGED) অফিসে যোগাযোগ করেন।উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি (LGED) অফিসের প্রধান কর্মকর্তার মোঃ আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।