মোঃ এনামুল হক বিপ্লব/কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অসম প্রেমের জেরে এক বৃদ্ধা নারীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পরকীয়ার সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই নারীর। পুলিশ সন্দেহভাজন যুবক প্রেমিক মিথুন রায়কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি বাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের বিধবা স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬২) এর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী ছত্রজিৎ গ্রামের জয়ন্ত রায়ের পুত্র মিথুন রায় (১৯) এর প্রায় এক বছর ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তিন মাস আগেও এ নিয়ে গ্রামে সালিশ বৈঠক হয়। এরপরও তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি বলে অভিযোগ।গত শনিবার রাতে ঢাকায় একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মিথুন। কিন্তু রোকেয়া বেগম তা প্রত্যাখ্যান করলে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রোকেয়া বেগম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন বলে দাবি এলাকাবাসীর। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রোববার সকালে তাঁকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাঁকে রেফার্ড করেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সোমবার রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।এদিকে, ঘটনার সময় এলাকাবাসী মিথুনকে রোকেয়ার ঘর থেকে আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছালামের জিম্মায় রাখেন। বৃদ্ধার মৃত্যুর পর সোমবার সকালে তাঁকে রাজারহাট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, “বৃদ্ধা নারীর সঙ্গে তরুণ ছেলেটির সম্পর্ক থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত ধৃত মিথুন রায়কে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।