আব্দুর রশিদ /সাতক্ষীরা: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় সাতক্ষীরা সিটি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একই সঙ্গে বরখাস্তকালীন সময়ে তাকে খোরপোষ ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাউশির বেসরকারি কলেজ শাখা থেকে ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে জারি করা এক অফিস আদেশে জানানো হয়, ভুক্তভোগী লুবনা সামীহা ২৫ মার্চ ২০২৫ তারিখে মাউশি অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, প্রভাষক মিজানুর রহমান যৌতুকের জন্য তাঁর ছেলেকে প্ররোচিত করে লুবনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের ঘটনায় সহায়তা করেন। এ ঘটনায় লুবনা সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০২০)-এর ১১(গ)/৩০ ধারায় জি.আর-১১৩/২৫ নম্বর মামলা এবং দণ্ডবিধির ৩২৩/৫০৬/৩১৭/৩৪ ধারায় সাতক্ষীরা সদর আমলী আদালতে সিআর-৩৮৫/২৫ নম্বর মামলা দায়ের করেন। মাউশির আইন শাখা প্রাপ্ত অভিযোগের আলোকে মতামত দেয় যে, একজন শিক্ষক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলে এবং মামলাটি চলমান থাকলে সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে। এটি গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হয়। অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলমান থাকায় এবং শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষায় মাউশি এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।মাউশির সহকারী পরিচালক (ক-৩) মো. মাঈন উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, বরখাস্তের পাশাপাশি মো. মিজানুর রহমানকে বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রসঙ্গত, মামলার রায়ে অভিযুক্ত প্রভাষক দোষী সাব্যস্ত হলে তার স্থায়ী বরখাস্ত ও এমপিও বাতিলসহ অন্যান্য চূড়ান্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে আইন শাখা সূত্রে জানা গেছে।