চয়ন চৌধুরী/সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আবুল হোসেনের সুযোগ্য পুত্র ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন মন্টু বিরুদ্ধে নানা অপ-প্রচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সদরের বিজয়-২৪ চত্বরের চৌধুরী মার্কেটে এ সংবাদ সম্মেলণের আয়োজন করেন বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন মন্টু।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন মন্টু বলেন, আমার পিতা ছিলেন, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তিনি জয়শ্রী ইউনিয়নের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। শুধু তাই নয়, আমার পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই আজ ধর্মপাশায় বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী। পাশাপাশি আমার পিতার জীবদ্দশায় তিনি নিজ এলাকার জয়শ্রী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও তিনি জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের স্থান দাতা, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্থান দাতা, তাঁর উদ্যোগেই গড়ে উঠে জয়শ্রী বাজার ও গড়ে উঠে জয়শ্রী খাদ্য গোদাম সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।তিনি আরো বলেন, আমি আমার মরহুম পিতার হাত ধরেই শহীদ জিয়ার আদর্শ হৃদয়ে লালন করেই এ উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছি। আমি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক কার্য্যকরি কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলাম। উপজেলা বিএনপিতে ৩ বার সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে আমি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালণ করে আসছি। কিন্তু চলতি জুলাই মাসের শুরুতেই এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন বিএনপির ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটিতে সদস্য থাকার জন্য আমার ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের চিহ্নিত আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন রানাও আবেদন করেন। কিন্তু উক্ত কমিটিতে তাকে সদস্য না করায় সে আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আমাকে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত হতে হয়। আর এসময়ে মোবাইল ফোনে তোলা আমার কিছু ছবি ডাউনলোড করে আমার সেই সব ছবি সে তার লোকজনদের দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন দেয়ালে লাগিয়ে দেয়। আমি আজ এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অপ-প্রচার ছড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই আওয়ামী লীগের দোসর জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন মন্টু জাহাঙ্গীর হোসেন রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন রানা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে ঢাকার কামরাঙ্গিরচর এলাকায় একটি ব্যক্তিগত অফিস নিয়ে সেখানে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে তার চেম্বারে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি টানিয়ে কারখানা খুলে দাপটের সাথে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করেছেন। আর এ ধরনের অবৈধ ব্যবসা করতে গিয়ে সেখানে একাধিকবার জেল খেটেছেন তিনি। আর এখন তিনি এলাকায় এসে বলে বেড়াচ্ছেন ঢাকায় তিনি বিএনপির আন্দোলন করতে গিয়ে তাকে নাকি সাড়ে চার মাস জেল খাটতে হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন রানা বলেন, আমি কারো ছবি দিয়ে কোনো পোস্টার ছাপাইনি। আমাকে অযথাই দোষারুপ করা হচ্ছে। আমার ছবি এডিট করে আওয়ামী লীগ বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ২০১৮ সালে বিএনপির হয়ে ঢাকায় পিকেটিং করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের দায়েরকৃত মামলায় আমি ৪ মাসেরও বেশি সময় জেল খেটেছি। বিএনপির রাজনীতিতে আমি এখনও সক্রিয় আছি।