পরেশ দেবনাথ(নিজস্ব প্রতিনিধি)যশোরের কেশবপুর ও মণিরামপুরসহ পাঁচটি উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে ভবদহসহ ভরাট হওয়া মুক্তেশ্বরি, টেকা ও তেলিগাতি নদী পরিদর্শন করেছেন চাইনার চেংগিং ওয়াটার রিসোর্সের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড ইন্সট্রাকশন (CAI) রং রং এ দলের নেতৃত্ব দেন।মঙ্গলবার (২৯ জুলাই-২৫) দুপুরে বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব মোঃ লুৎফর রহমান-এর নেতৃত্বে পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, কেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেখসোনা খাতুন, সরকারি কমিশনার (ভূমি) শরিফ নেওয়াজ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যা আল মামুন, কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার প্রমূখ।প্রতিনিধি দল প্রথমে মনিরামপুরের ভবদহ ২১ ভেন্ট স্লুইস গেট এবং পরে কেশবপুরের শোলগাতিয়া ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করেন। জলাবদ্ধতার প্রকৃতি, পানি প্রবাহ, এবং স্থানীয় জনগণের দুর্ভোগ সম্পর্কে অবহিত হন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চায়না প্রতিনিধি দল জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্ভাব্য প্রকৌশল সহায়তার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।উল্লেখ্য, ভবদহ সুচইগেট নির্মাণের পর থেকে মানবিক বিপর্যয়ের স্বীকারে পরিণত হয় এ জনপদের মানুষ। এ অঞ্চলের শ্রীনদী, হরিনদী, টেকানদী, মুক্তেশ্বরি ও তেলিগাতি নদী ভরাট হয়ে ভবদহ অঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং যশোর জেলার ৫টি উপজেলার কয়েশ’ গ্রাম ও হাটবাজার তলিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। এর প্রভাবে কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলাসহ এ অঞ্চলে প্রতি বছর দেখা দেয় বন্যা। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এলাকার জলাবদ্ধ মানুষ। খাল ও বিল তলিয়ে থাকায় ফসল উৎপাদন না হওয়ায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। হাজার হাজার মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ পেশা পরিবর্তন করে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। যারা আছেন তারা অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনে তারা স্থায়ী সমাধান চান।