তানোরে ৩৪ ঘণ্টার অভিযানন চোর গ্রেপ্তার, উদ্ধার ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি; জাকির হোসেন/রাজশাহীর তানোর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এক বৃদ্ধ মহিলার জমি বিক্রয় এ থেকে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও দলিল পত্র চুরি হয়ে যায় চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনায় মাত্র ৩৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযুক্ত চোরকে গ্রেপ্তার করে, চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে তানোর থানা পুলিশ। দ্রুত এই অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন।জানা গেছে, গত ২৮- জুলাই (সোমবার) মধ্যহ্নে তানোর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে একবৃদ্ধা মহিলার জমি বিক্রয় এর ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। ঘটনার পরপরই তিনি তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ গ্রহণের পর পরই তানোর থানা পুলিশ (ওসি) আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে, ঘটনার তদন্তে নামে। (সিসিটিভি) ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত চোর কে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হয়।গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার বাঁধাইড় ইউনিয়নের একান্নপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইদুর রহমানের ছেলে (চোর) আরজেদ আলীকে (৩৪) তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন তানোর থানা পুলিশ। পুলিশের ওই অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা।(ওসি) আফজাল হোসেন জানান; “ঘটনার পর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছি।তিনি আরও বলেন, তানোর থানা সবসময় অপরাধ নির্মূলে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। “পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার এর কারণেই এ সফলতা এসেছে।পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরজেদ আলী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য হতে পারে। তার বিরুদ্ধে তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করেছেন।এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন; এত অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় চুরির রহস্য উদঘাটন এবং চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার নিঃসন্দেহে পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী ধর্মী সাফল্যতা। তারা বলেন, ওসি আফজাল হোসেন যে সাহস, দূরদর্শিতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) থাকলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। তানোর থানার এ সাফল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও সম্মানও বেড়েছে।