মোঃ রুবেল শেখ/খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতি গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ড মৃত শাহাজাহান মোড়ল এর পুত্র মোঃ আজিমুজ্জামান আজম মোড়ল(৩৬) গত আনু:৯ মাস পুর্বে আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে (১৭)ভাতিজিকে কাপড় কেনার কথা বলে পথের বাজারে নিয়ে যান,পরে বাতিভিটা গ্রামে কাজ আছে বলে ঐ গ্রামে একটি টিনের ঘরে প্রবেশ করেন। এর পর ভাতিজিকে ভয় দেখিয়ে গলায় দা ঠেকিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। চাচা আজম বলেন তুই যদি আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করিস তোকে জানে মেরে ফেলবো, ভাতিজি নিরুপায় হয়ে চাচা আজমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হন, তখন চাচা আজম গোপনে মোবাইল ক্যামেরায় অনৈতিক কাজের ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে চাচা ওই খারাপ ভিডিওর ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত ব্ল্যাকমেইল করে একাধিকবার ভাতিজিকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন। গত ২৩শে জুলাই ভাতিজির পরিবার মেয়ে কে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান, তখন চিকিৎসক বলেন আপনারা মেয়ে ৭মাসের গর্ভবতী। ভাতিজির পরিবার চাচা আজম কে বিষয় টি জানালে তিনি বলেন বাচ্চা নষ্ট করে ফেলো- টাকা পয়সা যা প্রয়োজন আমি দিব। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ,এই বিষয়ে আজম জানার পর দ্রুত অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ভাতিজি দাবী,আমার মত এমন অবস্থা যেন আর কোন মেয়ে না হয়। চাচা আজম কে আইনের আওতায় এনে কঠোর তম শাস্তি ব্যবস্থা করা হোক। বিষয়টি জানাজানির পর পরিবারের লোকজন একেবারে ভেঙে পড়েছেন।মেয়ের বাবা একজন গরিব দিনমজুর, তিনি বলেন আদালতে সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য মামলা দায়ের করেছি। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জের নিকট উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুনেছি ভুক্তভোগী আদালতে মামলা করেছে, আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।