মনিরুল ইসলাম মোড়ল/খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া বিরুদ্ধে, নবম শ্রেণীর ছাত্রীর ছবি তোলার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার সাথে অনৈতিক মোবাইল মেসেজ এর অভিযোগ ও সহকারী শিক্ষকের নানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় গত গত ৭ ই জুলাই ২৫ তারিখে সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে শ্রেণী কক্ষে নবম শ্রেণীর ছাত্রীর অনুমতি ছাড়া গোপনে কিবরিয়া মাষ্টার মোবাইল ফোনে ছবি তোলেন । ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক একত্রিত হয়ে শিক্ষক কিবরিয়ার বিরুদ্ধে হট্টগোল শুরু করে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবস্থার বেগতিক দেখে উপজেলা প্রশাসন ও দিঘলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন, থানা পুলিশ কিবরিয়া মাষ্টার কে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয় সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে পরিস্থিতি তখন শান্ত করা হয়। শিক্ষক কিবরিয়াকে পুলিশ পাহারায় তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা যায়।বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের পর অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা যায়।অপর দিকে উক্ত অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার নিকট উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যদের টাকা দিয়ে আমার পক্ষে রিপোর্ট করাব। কিবরিয়া মাষ্টার ২০১২ সালে সেনহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষাগতা শুরু করেন, এই পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১৪ থেকে ১৬ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, শ্রেনী কক্ষে পাঠ্য বইয়ের বাইরে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক আলোচনা স্বামী/স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রাখেন যা অনৈতিক। ছাত্র/ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ঐ শিক্ষক কিবরিয়া বিদ্যালয় যোগদান করলে আমরা ক্লাস বর্জন করব বলে হুমকি দেয়। কার ছত্রছায়ায় কোন পেশি শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে কিবরিয়া মাষ্টার বারবার অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়- আজিজুল হাকিম নামের এক ব্যক্তি, খুলনা জেলা তরুণ দলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে, অভিযুক্ত শিক্ষক কিবরিয়ার অপরাধ ঢাকতে প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক, এমনকি দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অকথ্য ভাষা সহ-হুমকি- ধামকি দিয়ে আসছে।