মোঃ আমিনুর রহমান, (মানিকগঞ্জ)৩১ জুলাই ২০২৫ ইংমানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় পল্লী চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার ফলে পশু খামারিরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। ভুল চিকিৎসার কারণে গরু ও ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ খামারিদের জন্য চরম উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।ভুক্তভোগী ও খামারিরা জানান, পশুর রোগ নির্ণয়ে ভুল করার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার না পাওয়ায় আমাদের খামারে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। অনেক পল্লী চিকিৎসক যথাযথ প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই চিকিৎসা প্রদান করছেন। কিছু সময় কথিত পল্লী চিকিৎসকরা অসচেতন খামারিদের ভূল বুঝিয়ে অসুস্থ পশু তাদের চিকিৎসায় ভালো হবে বুঝিয়ে, অল্প টাকায় দালালদের মারফতে খামারিদের মূল্যবান গরু ছাগল বিক্রি করে দেয়। এবং সেখান থেকে কথিত পল্লী চিকিৎসকরা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমরান হোসেন জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা কথিত পল্লী চিকিৎসকরা সাটুরিয়া উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলে পশু খামারিদের উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে চলছে, যার ফলে স্থানীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিছু খামারি অসচেতনভাবে তাদের চিকিৎসা গ্রহণ করছে। যার ফলে খামারিরা বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। কথিত পল্লী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে একাধিক বার ব্যবস্হা গ্রহন করা হলে ও স্হানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের সহযোগিতায় পূণরায় গ্রামে গ্রামে ভুল চিকিৎসার দিয়ে চলছে। খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে কথিত পল্লী চিকিৎসকদের সন্ধান না পেয়ে বিভিন্ন সময়ে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও বিভিন্ন দপ্তরের উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত আছে। কথিত পল্লী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল সাধারণ খামারিদের পাশে আছে এবং পশু চিকিৎসায় যেকোনো ধরনের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার প্রতিরোধের জন্য কাজ করছে। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ বিভাগের সহযোগিতা ও পল্লী চিকিৎসকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।