মোঃ আমিনুর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি/মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের হান্দুলিয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক এশিয়ান টেলিভিশন ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার সাটুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন ।ভুক্তভোগী জানান কথিত পল্লী চিকিৎসক ৮ নং ওয়ার্ডের কৈজুরী গ্রামে ফজলের গরু চিকিৎসা করে, তার একদিন পর গরুটি মারা যায়। ঢাকা ধামরাই উপজেলার কথিত পশু চিকিৎসক কাশেমের ভুল চিকিৎসায় সাটুরিয়ার চামুটিয়া, হান্দুলিয়া সহ আশপাশের কয়েক গ্রামের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এবং সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গরু মারা গেলে এ বিষয়ে এশিয়ান টেলিভিশনে সাটুরিয়ায় পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এমন সংবাদ প্রচার হয়। প্রতিবেদন প্রচারিত হলে ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে আলোচনায় আসেন কাশেম। কিন্তু কথিত ডাক্তার একদিন পরে একই গ্রামে হান্দুলিয়া মৃত নজর আলীর ছেলে খামারি কাশেমের গরু চিকিৎসার জন্য যায়। এ সময় তথ্য অনুসন্ধানে কথিত ডাক্তারের চিকিৎসার বৈধতা সম্পর্কে আবুবকর সিদ্দিক, সাটুরিয়া উপজেলা পশু হাসপাতালে কর্মকর্তা ডাঃ ইমরান হোসেনকে ফোন ধড়িয়ে দেয়। ডাঃ ইমরান হোসেন কথিত কাশেমের সাথে মোটো ফোনে কথা বলে জানান, পল্লী চিকিৎসক কাশেমের ডাক্তারের চিকিৎসা দেওয়ার কোন বৈধতা নেই।এ সময় কথিত পল্লী চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে গালিগালাজ করে এবং তুই আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেছিস। এই বলে ঘটনাস্থল থেকে কথিত ডাক্তার পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক হান্দুলিয়া গ্রামের পশু সেবা গ্রহনকারীর পশুর চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা পশু হাসপাতালে কর্মকর্তাদের দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্হা করে দেয়। পরে কয়েক ঘন্টা পর ঢাকা ধামরাই উপজেলা থেকে কথিত পল্লী চিকিৎসক কাশেম তার দলবল ও স্হানীয় কিছু কুচক্রী মহলের সহযোগিতায় হান্দুলিয়া গ্রামে সাংবাদিকের নিজ এলাকায় সেবা গ্রহন কারী কাশেমের বাড়ি গিয়ে দেশীয় লাঠি সোটা নিয়ে বিবাদী ১। কথিত পল্লী চিকিৎসক আবুল কাশেম (৩৯), পিতামৃত- লাল চান ব্যাপারী, সাং- নান্দেশ্বরী, থানা- ধামরাই, জেলা- ঢাকা ২। রাশেদুল (২০), পিতা- মাসুদ রানা, সাং- নান্দেশ্বরী, থানা- ধামরাই, জেলা- ঢাকা সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন নিয়ে সাংবাদিক মো : আবু বক্কর সিদ্দিককে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। মুমূর্ষু অবস্থা হলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিতে গেলে গাড়ি থেকে নামিয়ে হান্দুলিয়া পাকা রাস্তায় জন সম্মুখে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখে কাশেম সহ তার দলবল। তারা একে বারে জানে মেরে ফেলার হুকমি দেয়।পরে স্হানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে সাটুরিয়ায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। সাংবাদিকরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি করেন। এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: শাহিনুল ইসলাম জানান সাংবাদিক মারার ঘটনায় কথিত পল্লী চিকিৎসক মো: কাশেম কে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।