চয়ন চৌধুরী/নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের সাতমা-ধলাই নদীতে বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড নৌকা ডুবির ঘটনায় আব্দুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নৌকার অপর ২ জন মাঝি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।আহত মাঝি আব্দুল হককে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে মোহগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ধলাইমূলগাঁও ইউনিয়নের দেবকান্দা গ্রামের শাহাজাদা আলীর ছেলে।নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, একই গ্রামের কুদ্দুস আলীর ছেলে মারুফ মিয়া (২৬) ও আব্দুল গফুরের ছেলে জিয়াউর রহমান (২২)।মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের আদর্শ নগর বাজারের অদূরে সাতমা-ধলাই নদীর ভাটি সুয়াইর নামক ব্রীজের নিচে এ নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন, আদর্শনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই দেলোয়ার হোসেন।এ ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।হাসপাতালে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা জানান, গত কয়েক বছর যাবত পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের আব্দুল হক, একই গ্রামের মারুফ মিয়া ও জিয়াউর রহমান তারা তিনজন মিলে বর্ষার শুরুতেই একটি বাল্কহেড নৌকা বর্ষা ৬ মাসের জন্য ভাড়ায় এনে উক্ত নৌকা যোগে তারা কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে বালু বোঝাই করে এনে মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তা বিক্রি করে আসছিলেন। এ অবস্থায় সোমবার রাতে তারা তাদের বালু বোঝাই নৌকাটি নিয়ে উপজেলার সাতমা-ধলাই নদীর ভাটি সুয়াইর ব্রীজের নিচে অবস্থান করে সেখানে রাত্রিযাপন করছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে তারা তিনজনই নৌকার ভেতরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ভারী বৃষ্টির পানি জমে নৌকাটি ব্রীজের নিচে নদীতে ডুবে যায়। এসময় নৌকার ভেতর থেকে অনেক চেষ্টার পর আব্দুল হক বের হয়ে সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অন্য দুইজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম ওই দিন বিকেল ৫টায় জানান, ময়মনসিংহ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও তাদের সাথে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু ৩০-৩৫ ফুট গভীর এ নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজে ব্যাহত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।