গোলাম কিবরিয়া পলাশ(ব্যুরো প্রধান ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ বলেছেন, ৩৬ জুলাই (০৫ আগস্ট) দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না। আল্লাহ চাইলে মহাপরাক্রমশালীও ধরাশায়ী হতে পারে। অন্যায়ের প্রতিবাদে বুক পেতে দিয়েছিলো আবু সাঈদ, সারাদেশে তরুণ ছাত্র-ছাত্রীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। তাদের ত্যাগ, দুঃসাহস দেখে পরবর্তীতে অভিভাবকসহ দেশের আপামর জনসাধারণ আন্দোলনের মাঠে নামে।ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জুলাই শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা সম্মিলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (০৫ আগস্ট) সকালে নগরীর টাউন হল এডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫ এর অংশ হিসেবে এ সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়।প্রধান অতিথি বলেন, আন্দোলনে শহিদ পরিবার, যুদ্ধাহত জুলাই যোদ্ধাদের শূন্যতা ক্ষতিগ্রস্তরা ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারবে না। জুলাই আন্দোলনের স্পিরিট যেন হারিয়ে না যায়, দেশবাসীকে সে ব্যাপারে বদ্ধপরিকর থাকতে হবে। সে স্পিরিটকে সামনে রেখে দেশকে পুনর্নিমাণ করতে হবে। এই স্পিরিট নস্যাতে এখনো যে অপশক্তি তৎপর, তাকে ঠেকাতে সম্মিলিতভাবে দেশবাসীকে সচেষ্ট থাকতে হবে।ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মিলনের শুরুতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে জুলাই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ জেলার জুলাই আন্দোলনে শহিদ যোদ্ধাদের অভিভাবক এবং যুদ্ধাহত ও আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী জুলাই যোদ্ধাদের মধ্য থেকে বক্তব্য প্রদানকারী প্রতিনিধিগণ জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। ফ্যাসিবাদ ও বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য ও প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়া, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম। এছাড়াও ময়মনসিংহ সদর উপজেলা এবং জেলার ১৩টি উপজেলার জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই যোদ্ধাগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ছাত্র-শিক্ষক, জেলার বিভিন্ন স্তরের জনগণ এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।