পরেশ দেবনাথ/আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রবীণ সাংবাদিক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এরশাদ আলী। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট-২৫) দিনগত গভীর রাতে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চী গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি হৃদরোগ, দীর্ঘদিনের শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। মানুষটির মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।বুধবার (৬ আগস্ট-২৫) জোহরের নামাজের পর হেলাঞ্চী ঈদগাহ মাঠে দৈনিক গ্রামের কাগজে সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিনসহ সহকর্মী সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক এবং শুভানুধ্যায়ীরা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন, হেলাঞ্চী বাজার কেদ্রীয় জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা আমানুল্লাহ আমান বুলবুলী। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।জানাজা পূর্বে সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মবিনুল ইসলাম মবিন বলেন, “আমরা শুধু একজন সহকর্মীকে হারাইনি, হারিয়েছি একজন অভিভাবকসুলভ মানুষকে। এরশাদ ভাই আমাদের মধ্যে একজন শক্ত ভরসা ছিলেন। রাজগঞ্জের মতো মফস্বল এলাকায় থেকেও তিনি সাংবাদিকতার যে মানদণ্ড তৈরি করেছিলেন, তা অনেক বড় শহরের সাংবাদিকদের অনুকরণীয়। তিনি কখনো মিথ্যার সঙ্গে আপোষ করেননি। ছবি তোলা থেকে শুরু করে প্রতিবেদন লেখা—সবকিছুতেই তিনি ছিলেন যত্নবান, দায়িত্বশীল। এই ধরনের পেশাদার সততাবান সাংবাদিক আজকাল খুব কমই দেখা যায়। আমরা গ্রামের কাগজে তাঁর মতো নিবেদিত কর্মী আর পাবো না। আজকে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন কিন্তু তাঁর কর্ম ও আদর্শ আমাদের হৃদয়ে চির ভাসমান থাকবে।।জানাজায় আরো বক্তব্য দেন, খেদাপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনছুর রহমান এবং মরহুমের বড় ছেলে ইমদাদুল হক টগর। তাঁরা এরশাদ আলীর পেশাগত নিষ্ঠা, সামাজিক অবদান এবং পারিবারিক জীবন নিয়ে সংবেদনশীল স্মৃতি তুলে ধরেন।জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক গ্রামের কাগজের নির্বাহী সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক এম আইয়ুব, স্টাফ রিপোর্টার লিটন হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি দেওয়ান মোর্শেদ আলমসহ গ্রামের কাগজ পরিবারের প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক। তাছাড়া, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক এবং বিপুল সংখ্যক শুভানুধ্যায়ী জানাজায় উপস্থিত ছিলেন।