1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও স্বজনরা কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত আসাবুর বাহিনীর -২ সহযোগী আটক আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রবীণ সাবাদিক এরশাদ আলী পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল কর্তৃক প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন, সংরক্ষণের দাবী মোহনগঞ্জে সাতমা-ধলাই নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ ২ মাঝির মরদেহ উদ্ধার সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে -সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা সাতক্ষীরার মাহমুদপুরে পোলট্রি খামারে হামলা, মুরগি লুট ও ভাঙচুরের অভিযোগ সাতক্ষীরায় সুইডেনের উদ্যোগে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে প্রাণসায়ের খাল, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে সুবিধাভোগীদের মতামত সভা ঈশ্বরগঞ্জে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ মুক্তির বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় শোভাযাত্রা ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনে মাগুরাঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস” উদযাপন

পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল কর্তৃক প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র পরিদর্শন, সংরক্ষণের দাবী

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট, ২০২৫
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

গোলাম কিবরিয়া পলাশ/আজ (০৬ আগস্ট ২০২৫) তারিখ বেলা ১১ ঘটিকায় পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর একটি প্রতিনিধি দল ময়মনসিংহ নগরীর মৃত্যুঞ্জয় স্কুল এলাকায় অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দল জানান যে, ইউরোপে ১৫ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মুদ্রণ শিল্পের প্রসার ঘটে।বিশেষ করে ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান উদ্ভাবক জোহানেস গুটেনবার্গ কর্তৃক ধাতব চলনশীল অক্ষর ব্যবহার করে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কারের পর হতে এর ব্যাপক প্রসার ঘটে। ভারতীয় উপমহাদেশে ছাপাখানার প্রসার ঘটে পর্তুগিজদের হাত ধরে। ১৫৫৬ সালে গোয়ায় পর্তুগিজরা প্রথম ছাপাখানা স্থাপন করে। এরপর ধীরে ধীরে এই প্রযুক্তি ভারতীয় উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুদ্রণ শিল্প প্রসারিত হতে থাকে। যার প্রভাব প্রাচীন নগরী ময়মনসিংহেও পড়ে।এই মুদণযন্ত্রটি ১৬৯৯ সালে নির্মিত, যা মুদ্রণ শিল্পের অনন্য নিদর্শন। পূর্ব প্রজন্মের প্রগতিশীল মানুষদের হাত ধরে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির ময়মনসিংহে আগমন ঘটে। বর্তমানে যে ডিজিটাল মুদ্রণযন্ত্রের ব্যাপ্তি ঘটেছে তা প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের ধারাবাহিকতায়ই ঘটেছে। প্রাচীন নিদর্শন থেকেই প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাত ধরে আধুনিক যন্ত্রের বিকাশ ঘটে। প্রাচীন পুরাকীর্তির নিদর্শন দৃশ্যমান থাকলে প্রজন্ম চাক্ষুষভাবে জানতে পারে তার ক্রমবিকাশের উৎকর্ষতার ইতিহাস।আজ অতীব দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, ময়মনসিংহ নগরীতে ১৬৯৯ সালে তৈরিকৃত প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে। যদি এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে প্রদর্শন করা হতো তাহলে প্রজন্ম জানতে পারতো প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্র কেমন ছিল। কিভাবে মুদ্রণের কাজ হতো। ময়মনসিংহ শহরে কবে থেকে মুদ্রণ শিল্পের যাত্রা শুরু হয় সে ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেত। কিন্তু আজ অবহেলায় পড়ে থাকায় তা জানা থেকে প্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে।সর্বোপরি বাংলাদেশ একটি প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রের অধিকারী হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিদর্শন দল আরো জানান যে, পুরাকীর্তির নিদর্শন অমূল্য প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি উন্মুক্ত স্থানে অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে এর অনেক যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। যদি এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে এই প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটির কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।পুরাকীর্তির নিদর্শন স্বরুপ প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক যেন অচিরেই জাদুঘরে স্থানান্তরের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সে ব্যাপারে পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর পরিদর্শন দল কর্তৃক ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানানো হয়।প্রাচীন মুদ্রণযন্ত্রটি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল এর সভাপতিমণ্ডলী সদস্য অধ্যাপক স্বপন ধর, আব্দুল কাদের চৌধুরী, কবি সরকার আজিজ, গোলাম ফারুক লিটন, মো: নুর আলী চিশতি, সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ, কার্যকরী সদস্য কবি আফতাব আহমেদ মাহবুব, মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সাংবাদিক শফিয়েল আলম সুমন, সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন আল মাছুম, মো: এনামুল কবীর, নিহার রঞ্জন দাস প্রমূখ।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট