রাজশাহী ব্যুরো/ জাকির হোসেন(টুটুল)রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিস্তীর্ণ আমণ ধান খেতে ভয়াবহ পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আমণ ধান চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীদের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ পাচ্ছেন না। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে আমণ ধান খেতে পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।স্থানীয় কষক সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলায় চলতি মৌসুমে আমন চাষেরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার ৩০০ হেক্টর। এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপণ করছেন কষকগন। মাঠ জুড়ে ছেঁয়ে গেছে কৃষকের স্বপ্নের ধান, গুটি স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, ব্রি-ধান-৪৯, ব্রি-ধান-৫১, ব্রি-ধান-৭৫, ব্রি-ধান-৮৭, ব্রি-ধান-৯৫, ব্রি-ধান-১০৩ সহ বিভিন্ন জাতের ধান। এদিকে গত ২৫ আগস্ট (সোমবার) সরেজমিনে দেখা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মাদারীপুর, হাতিশাইল, ছাঐড়, হাতিনান্দা মাঠে অধিকাংশ আমণধানখেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিন্ত্ত অধিকাংশ আমণ ধানের জমিতে অতিবৃষ্টির কারণে কৃষকেরা কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেন নাই। অনেক কৃষক বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে” করেও কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। ছাঐড় গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ছাড়াই অনুমান নির্ভর হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক স্প্রে” করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। কৃষক আয়ুব ও আব্দুল বলেন, তাদের ৫ বিঘা জমির আমণ ধানে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিন্ত্ত টানা বৃষ্টির কারণে তারা এখানো জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারেন নাই। এছাড়াও শহিদুলের ২ বিঘা ও আহমেদ আলীর ৫ বিঘা জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে।স্থানীয কৃষকেরা জানান, এবার আমণ ধান চাষ মৌসুম থেকে কৃষকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ গত বছরের তলনায় এবছর আমন চাষের সময়ে অতি বৃষ্টি ও সারের সঙ্কট ছিল। কিন্ত্ত আমণের ভরা মৌসুমে পোকার আক্রমণ ও ইউরিয়া সারের সংকট দেখা দেয়ায় তারা ফলন উৎপাদন নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।এদিকে কৃষি পরামর্শ ব্যতিত অনুমান নির্ভর ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শ মতো বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও তারা কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছেন না। উপজেলার বাধাইড় ইউপির কৃষক মতিন ও হিম্মত আলী বলেন, বাজারে যেভাবে নামি-দামি কোম্পানির কীটনাশক বিষ” বিক্রয় করা হচ্ছে, তাতে কোনটা আসল আর কোনটা নকল সেটা বোঝা বড় দায়।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।