মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টু/ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমি দীর্ঘদিন ভোগদখল এবং ভুয়া কাগজপত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাম্য সালিশে রায় নিজেদের পক্ষে নেওয়ার অভিযোগ এনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভুক্তভোগী মোঃ মাহমুদুল হাসান খান।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বক্তব্য হুবহু প্রকাশ করা হলো রবিবার (২৬ আগস্ট) সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে আমি নাকি জোরপূর্বক জমি দখল করেছি। এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরে একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। উক্ত জমিটি আমাদের পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত এবং মূল কাগজপত্র অনুযায়ী প্রকৃত মালিক আমরা। কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন নামের ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অন্যায়ভাবে জমিটি দখল করে রেখেছে। আমরা বহুবার আইনের আশ্রয় নিয়েছি, কিন্তু তার প্রভাব ও ক্ষমতার কারণে সুবিচার পাইনি।সম্প্রতি আমরা আবারও আইনের মাধ্যমে সুবিচার পাওয়ার চেষ্টা শুরু করতেই আমাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগে গভীর রাতে পুলিশ পাঠানো হলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোগের কোনো মিল খুঁজে পায়নি।আমরা আমাদের পৈত্রিক জমিতে একটি বসতবাড়ি নির্মাণ করেছি, এতে তার কোনো ক্ষতি হয়নি। অথচ পুনরায় মিথ্যা অভিযোগ এনে সেনা সদস্য ও পুলিশ নিয়ে আসে এবং বলে আমরা নাকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছি। যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষ করে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে এবং আগামী ৪ সেপ্টেম্বর কাগজপত্র ও প্রমাণসহ উভয় পক্ষকে সেনা ক্যাম্পে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।আমরা প্রশাসনের নির্দেশ কখনো অমান্য করিনি। বিরোধপূর্ণ স্থানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে আমরা তা যথাযথভাবে মেনে চলেছি। আমরা সর্বদাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিনি।কিন্তু মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার সহযোগীরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। টাকা দিয়ে ভাড়া করা সন্ত্রাসী দিয়ে গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং নির্মাণাধীন বাড়ি ভেঙে ফেলারও ষড়যন্ত্র করছে।এমতাবস্থায় আমি আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সেনা ক্যাম্পে সুবিচার পাওয়ার আশায় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি—আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।