1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শামুক নিধনে পরিবেশের ভারসাম্য বিপর্যয়ের আশংকা শালিখায় অসহায় নববধূকে স্বামীর বাড়ি তুলে দিতে সাহায্যের হাত বাড়ালেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক -কাজী আল আমিন ধর্মপাশায় মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে ভুয়া তথ্যে পুলিশে চাকরি তুয়ারডাঙ্গা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নিয়ে অশ্লীল ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন মোহনগঞ্জে উন্মুক্ত জলাশয় সরকারিভাবে লিজ দেওয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ডুমুরিয়ায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া রূপসায় বিএনপি’র নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত যশোর-৬ কেশবপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ ডুমুরিয়ায় চালের দাম কমলেও স্বস্তি ফেরেনি সবজি-পেঁয়াজে আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে-আবুল হোসেন আজাদ

তানোরে (৪০)বস্তা সার পাচারের সময় জনতার হাতে আটক

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী ব্যুরো/ জাকির হোসেন(টুটুল)রাজশাহীর তানোর উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নের (বিসিআইসি) সার ডিলার মেসার্স জামান টেড্রার্সের বিরুদ্ধে সার পাচারের অভিযোগ উঠেছে।জামান টেড্রার্সের স্বত্বাধিকারী আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা নুরুজ্জামান (ফটিক) ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার এর ১৭- বছর সার সংকটের দোহাই দিয়ে কৃষকদের জিম্মি করে কালোবাজারে সার বিক্রয় করে লাখ- লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গত জুলাই/ আগষ্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ফটিক আত্মগোপন রয়েছে। এখন তার পুত্র নিশান ব্যবসা দেখভাল করছেন।জুলাই বিপ্লবের পর চাঁন্দুড়িয়া ইউপির বিএনপির দুই নেতার যোগসাজশে (নিশান) কালোবাজারে সার পাচার করছে বলে কৃষকগণ অভিযোগ করেছেন।গতকাল ২৮- আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জামান টেড্রার্সের গুদাম ঘর থেকে (৪০) চল্লিশ বস্তা টিএসপি সার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটে পাচার করার সময় জনতা এসব সার আটক করে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনকে অবগত করেন। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা জামান টেড্রার্স ঘেরাও করে তার লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষক-জনতাদের শান্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে বিক্ষুব্ধ কৃষকের গণধোলাই থেকে বাঁচতে (নিশান) দোকান বন্ধ করে কৌশলে পালিয়ে যায়। আটক সার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে জব্দ করে রাখা হয়েছে।স্থানীয় কৃষক গাজিমুদ্দিন (জকি) (৫৫) বলেন, তিন দিন যাবত তিনি সারের জন্য ঘুরছেন। কিন্তু সার নাই বলে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কৃষক আসলাম বলেন, (টিএসপি) সারের সরকারি মুল্য ১৩৫০ টাকা, অথচ জামান টেড্রার্স ২৩৫০ টাকা বস্তা বিক্রয় করছে। একইভাবে (ডিএপি) সারের সরকারি মুল্য ১০৫০ টাকা, কিন্ত্ত তারা বিক্রয় করছে ১৯৫০ টাকা। তবে ক্রয় রশিদ দিচ্ছেন না, রশিদ চাইলে সার দিচ্ছে না।সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, সার বিপণন নীতিমালা অনুযায়ী এক এলাকার সার অন্য এলাকায় বিক্রয় ও সরকার নির্ধারিত মুল্যের বেশি দাম নেয়ার কোনো সুযোগ নাই। কৃষকদের অভিযোগ, জামান টেড্রার্স কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবত সার পাচার করছে। সরকারি বরাদ্দের সার নামেমাত্র দিয়ে সার মজুদ করে বাড়তি দামে বিভিন্ন এলাকায় পাচার করছে।এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্বরত) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পাচারের সময় জনতা এসব সার আটক করেছে। এবিষয়ে (ইউএনও) স্যারকে অবগত করে তার নির্দেশনায় এসব সার ইউপি ভবনে জব্দ করে রাখা হয়েছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে মেসার্স জামান টেড্রার্সের নিশান বলেন, এসব সার সরকারি বরাদ্দের নয়, বাইরে থেকে বেশী দামে কিনে এনে বেশী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এসব সার কেশরহাটে পাঠানো হচ্ছিল জনতা না বুঝেই আটক করেছে।এবিষয়ে ইউপি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সারগুলো অবৈধভাবে পাচার করা হচ্ছিলো, কৃষকেরা আটক করেছে। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট