চয়ন চৌধুরী/নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির গাছে অস্বাভাবিকভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় রুবেল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ।তবে যুবকের লাশ গাছে ঝুলে থাকলেও তার দুই পা হাঁটু পর্যন্ত মাটিতে লাগানো থাকায় এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বরান্তর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ির পেছনের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত রুবেল মিয়া পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার সাগরকান্দি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার বরান্তর গ্রামে বসবাস করছিলেন। রুবেল মিয়ার ১০ বছরের এক ছেলে ও ৫ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় এক যুগ ধরে উপজেলার বরান্তর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছেন রুবেল মিয়া। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পেছনে একটি গাছে রুবেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তার শাশুড়ি হুসনা আক্তার। সঙ্গে-সঙ্গে তিনি বিষয়টি বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের জানান। রুবেলের লাশ গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় গাছে ঝোলানো ছিল। তবে তার দুই পা হাঁটু পর্যন্ত মাটিতে লাগানো ছিল। এতে স্থানীয়রা এটিকে হত্যা বলে ধারণা করছেন। পরে খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, পাবনায় রুবেলের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে তারা রওনা হয়েছেন। এদিকে রুবেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।ওসি আরোও বলেন, ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করা হচ্ছে।