পরেশ দেবনাথ(নিজস্ব প্রতিনিধি)যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায় কুটির শিল্পের গ্রাম নামে খ্যাত আলতাপোলের তেইশ মাইল। এটি ও পাশের দুই গ্রামের বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে এই শিল্পের কারখানা। কারুশিল্পে কর্মসংস্থানের আলো বদলে দিচ্ছে শতশত মানুষের জীবন। কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামে কারুশিল্প দীর্ঘদিন ধরে একটি সফল শিল্প কার্যক্রম হিসেবে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় শিল্পীরা তাদের পরিশ্রম, মেধা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে নানান রকমের কারুশিল্পের পণ্য তৈরি করে আসছেন। এই শিল্প শুধু স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে না বরং শত শত বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে।কাঠ, বাঁশ, শোলা, মাটি ও ধাতু দিয়ে তৈরি ফুলদানি, হামানদিস্তা, লেবু চাপাতি, কলমদানি, কলস, বাটি, পাউডার কেস, বয়াম, ডিম সেট, আপেল সেট, খুনতি, পিঁড়ে, বেলান, অ্যাশট্রে, মোমদানি, হারিকেন, পেন্সিল ফুলদানি, চরকা, ধামাপাতি, টিফিন বক্স, ব্যাংক, সিঁদুর বাক্সসহ নানা পণ্য স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এসব পণ্যে সিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষে মসৃণ করে রং পলিশ ও ফার্নেস করার পর বিক্রি উপযোগী করে তোলা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি গভীর রাত অবধি চলে এ কর্মযজ্ঞ। শ্রমিকদের তৈরি করা পণ্যের পিচ হিসেবে দেওয়া হয় মজুরি। অর্থাভাবে থাকা এলাকার বেকার যুবকসহ নারীরা জড়িয়ে পড়েন এ কাজে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরাও শ্রমিক হিসেবে এখন কাজ করছেন আলতাপোল কুটির শিল্পে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আয় বেড়েছে তাদের সংসারে।অনেকেই এখন এই পণ্য অনলাইনে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন। আলতাপোল গ্রামের কারুশিল্প এখন একটি সম্ভাবনাময় শিল্পে পরিণত হয়েছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্থানীয় সংস্কৃতির পরিচিতি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখছে।