
খুলনা ডুমুরিয়ার থুকড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নায়েব নিলুফা ইয়াছমিন যোগদানের পর থেকে অফিসটির চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি জনসেবায় সততা, আন্তরিকতা ও দক্ষতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। থুকড়া ভূমি অফিস আজ স্বচ্ছ, আধুনিক ও সেবাবান্ধব এক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে।আগে যেখানে সাধারণ মানুষকে ভূমি সেবা নিতে নানান ভোগান্তি পোহাতে হতো,এখন তারা পাচ্ছেন দ্রুত ও নির্ভুল সেবা।নামজারি,খতিয়ান, ভূমি উন্নয়ন করসহ প্রতিটি কাজে এসেছে শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা। অফিসে এখন নেই অনিয়ম, নেই দালালচক্রের প্রভাব। সেবা নিতে আসা মানুষদের সঙ্গে তিনি নিজে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তাদের সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন।কুলোটি গ্রামের এক কৃষক যশরত সরকার বলেন, নিলুফা ম্যাডাম আসার পর ভূমি অফিসে যেন আলো ফিরে এসেছে। আগের মতো হয়রানি বা অপেক্ষা এখন আর নেই। সব কাজই হয় নিয়ম মেনে এবং দ্রুত সময়ে। আমি এখানকার সেবায় খুবই সন্তুষ্ট।একজন ব্যাবসায়ী রিপোর্ট নিতে এসে নাম না বলার সর্তে বলেন,তিনি খুব মানবিক কর্মকর্তা। অফিসে যে পরিবেশ এখন তৈরি হয়েছে,তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জনগণ এখন নিশ্চিন্তে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসতে পারছে মনে হয়। আমার কাজটা দ্রুত হয়েছে। স্থানীয় একজন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক জানান,কিছুদিন আগেও এই ভুমি অফিসের আশপাশে কিছু দুষ্ট প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াতো। তাদের কাজ ছিলো দালালি এবং সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করা।তবে অন্যদিকে,তার এই জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতায় কিছু কুচক্রী মহল অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছে। স্বচ্ছতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী চক্র তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা, হেনস্তা ও সম্মানহানির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ কর্মকর্তা।তিনি আরো বলেন ,আমি জনগণের সেবা দিতে এসেছি। আমার কাজ সততার সঙ্গে করা -এটা আমার দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য। কেউ আমাকে ভয় দেখিয়ে বা অপবাদ দিয়ে সেবা থেকে সরাতে পারবে না। জনগণের দোয়াই আমার শক্তি।ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপসহকারি মোঃ বোরহানউদ্দীন বলেন, যারা অতীতে ভূমি অফিসে অবৈধ সুবিধা পেত, তারা এখন বঞ্চিত হয়ে নানা প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছে। কখনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, কখনও প্রশাসনিক মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং আমি আমার জায়গা থেকে পাবলিকের স্বচ্ছ ভাবে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও পত্র পত্রিকায় থুকড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী নিলুফা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে বেক্তিগত ও অফিসকেন্দ্রীক বিভিন্ন দুর্নীতির নিউজ প্রকাশিত হয়েছে যে বিষয়টা আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি খোজ খবর নিয়ে দেখেছি এবং এমন কনো ঘটনা আমার সামনে আসেনি,আরো খোজ- খবর নিবো যদি সত্যতা পাই তাহলে ডিসি স্যারের নির্দেশেক্রমে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।