
চয়ন চৌধুরী/সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ৭ কৃষকের ১৬৪ শতক জমিতে রোপন করা শাক-সবজির গাছের গোড়া কেটে বিনষ্ট করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।বুধবার রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের দুধবহর গ্রামে দুর্বৃত্তরা এ নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায়।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা হলেন, ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন, জামাল মিয়া, রাসেল মিয়া, মজিবুর রহমান, হুমায়ুন মিয়া, ছদ্দু মিয়া ও দুলাল মিয়া।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুধবহর গ্রামে মোট ৮০জন সবজি চাষি রয়েছেন। ওইসব চাষিরা এবার ২০ একর জমিতে লাউ, টমেটো, ফুলকপি,বাধাকপি, সিমসহ বিভিন্ন জাতের শাক সবজি চাষ করেছেন। এর মধ্যে বুধবার রাতের আঁধারে এই গ্রামের সাতজন কৃষকের বাড়ির পাশের আবাদকৃত ১ একর ৬৪শতক জমিতে থাকা শাক-সবজি গাছের গোড়া ও লাউ কেটে বিনষ্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের ৬৪ শতক, জামাল মিয়ার আট শতক, রাসেল মিয়ার ১৬শতক, মজিবুর রহমানের ১৬শতক, হুমায়ূন মিয়ার ২৪ শতক, ছুদ্দু মিয়ার ১৬শতক ও দুলাল মিয়ার ২০শতক জমিতে থাকা শাক-সবজি গাছের গোড়া কেটে দেওয়ার পাশাপাশি গাছে থাকা লাউ কেটে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বলার ভাষা নেই। এবার ধার-দেনা করে ৬৪ শতক জমিতে সবজি চাষ করেছিরাম। কিন্তু দুর্বৃত্তরা আমার সব শেষ করে দিছে। এহন আমি ধার-দেনা দিমু ক্যামনে? আর সারা বছর সংসারই কেমনে চলবে। তা আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।দুধবহর গ্রামের বাসিন্দা রমজান মিয়া (৫৫) বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সাতজনের মধ্যে পাঁচজন কৃষকের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ।ধারদেনা করে তারা শাকসবজি চাষ করেছেন।সরকারিভাবে তাঁদেরকে সহায়তা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি। কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন।