
আব্দুর রশিদ/সাতক্ষীরার সদর উপজেলার তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহেনা আক্তারের প্রত্যাহার ও সীমাহীন দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর)সকালে বিদ্যালয়ের সামনে এলাকাবাসী ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা এই প্রতিবাদ জানান।এসময় এলাকাবাসীরা জানান-স্কুলের শিক্ষক রেহেনা আক্তার ও তার শামী মোশারফ হোসেন এই স্কুলে যোগদানের পর থেকে শুরু হয়েছে অনিয়ম আর দুর্নীতি। এমন কি বাচ্চাদের মারধর করলে অভিভাবকরা জিজ্ঞেস করতে আসলে তাদেরকেও গালিগালাজ করেন এই রেহেনা খাতুন,শুধু এখানে থেমে নেই রেহেনা ও তার স্বামী,ওই স্কুলের গাছ কাটা কাটা থেকে শুরু করে পুকুরের মাটি ভরাট করা টাকাও তার হাতের মুঠোয় এবং টয়লেট সংস্কারের টাকাও হাতিয়ে নেন এখানে থেমে নেই রেহেনা ও তার শামী, এমন কি স্কুলের খাতা কলম থেকে ল্যাবট্যাবসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকা বাঁশী, দুর্নীতির দ্বার প্রান্তে কয়েক লক্ষ টাকার অনিয়ম, এই অভিযোগ তুলে ধরেন এলাকার ওয়ার্ডের সভাপতি, এবং পুরাতন স্কুল মেরামত ও রং করার জন্য একলক্ষ বিশ হাজার টাকা বাজেট হয় সেখান থেকেও মারিং করেন তারা দুই জন। মোট বিশ হাজার টাকার কাজ করেন। এই ভাবে চলতেই থাকে আর-ও বলেন আমি এখানে যেটা বলবো সেটাই হবে, আরো একটা বড়ো বিষয় দুই তলা ভবন স্কুল এখানে তাদের ব্যবহার ও আচরণের কারণে মোট ছাত্র-ছাত্রী (৪০) জন, আস্তে আস্তে ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যবহারের কারণে খারাপ আচরণের কারণে বিভিন্ন ক্যাডেট স্কুলে ও মাদ্রাসায় ভর্তি করান ঐ এলাকার অভিভাবকরা। হেড মিসেস রেহানা আক্তারকে কিছু বলতে গেলে তখন সে বলেন আমার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বললে আমার আত্মীয় চাকরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিবালয় এই ভয়েতে এলাকার মানুষ কিছুই বলতে পারেনা। বিগত সরকারের আমলে মিসেস রেহেনা খাতুন ও তার স্বামী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও পত্র পত্রিকায় নিউজ করান এলাকাবাসী তাতেও কোন ফল হয়নি। তার পর থেকে বিশম রাগী হয়ে যান তারা আরো ছাত্র-ছাত্রীর উপরে চড়াও হন মিসেস রেহেনা খাতুন। এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের বদলিসহ প্রত্যাহারের দাবী জানান এলকার সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকরা। এদিকে স্কুল দপ্তরী মোঃ সোহাগ হোসেনের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন আমি এখন আসতে পারবো না আমার মা অসুস্থ পরে জানা যায় তিনি গরুর ডাক্তারি করতে গিয়েছেন একজন দাপ্তরিক দায়িত্ব হয়ে সে স্কুলের কোন দায়িত্ব পালন করেন না দাবি করেন এলাকা বাসি, ফোনে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ভাষায় করেন এই সোহাগ হোসেন। অন্যদিকে তলুইগাছা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আহাদ জানান শিক্ষক রেহেনা আক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এর কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিএনও মহোদয় কে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তার পরেও খেন্তো হয়নি রেহেনা। তাই এই মর্মে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রেহেনা আক্তারের সাথে দেখা করতে গেলে স্কুলটি বন্ধ দেখা যায়, মিসেস রেহেনা খাতুনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায় ও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।