1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মোহনগঞ্জে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে ‘ভাব’ বাংলাদেশের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ৫০ শিক্ষার্থী পেল স্কুল ড্রেস বাঁশবাড়িয়া মাঃ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরষ্কার বিতরণ ধর্মপাশায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করে ৩ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল ওসি আশাশুনির বুধহাটা ও দরগাহপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত তালার বিএনপির নেতা জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান বেরিয়ে আসুক থলের বিড়াল, মোহনগঞ্জে অবৈধ জন্মনিবন্ধনকাণ্ডে রিমান্ডে শাওন চুকনগর বাজারে খর্নিয়া হাইওয়ে থানার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা পাথরঘাটা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

বেরিয়ে আসুক থলের বিড়াল, মোহনগঞ্জে অবৈধ জন্মনিবন্ধনকাণ্ডে রিমান্ডে শাওন

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

সুমন মাহমুদ শেখ (নিজস্ব প্রতিবেদক) নেত্রকোনায় মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সিল-স্বাক্ষর জাল করে অবৈধ জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির অভিযোগে গ্রেফতারকৃত মওদুদ আহমেদ শাওনকে (৩৫) তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।সোমবার দুপুরে শাওনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক জয় পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কথা আছে আগামী ১ জানুয়ারি শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে মোহনগঞ্জ থানায় আনা হবে।গত বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভেতরে অনলাইন সেবার দোকান এম.এফ আইটি সলিউশন নামক তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কথিত রোহিঙ্গাদের ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।পরদিন সংশ্লিষ্ট ৭ নং গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রাজীব মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে শাওনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মওদুদ আহমেদ শাওন মোহনগঞ্জ পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা ফেরদৌস আহমেদের ছেলে। তার স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের একজন উদ্যোক্তা। অভিযোগ রয়েছে, স্ত্রীর দায়িত্বে থাকা অনলাইন কার্যক্রমের কাজ শাওন নিজেই পরিচালনা করতেন। শুধু নামকাওয়াস্তে ঝর্ণা আক্তারের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ /সাত বছর আগে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে টেকনিশিয়ান পদে চাকুরীর জন্যে আবেদন করেছিলেন শাওন। বিধি মোতাবেক সরকারি চাকুরি না হলেও অলৌকিক শক্তিতে ওই সময় থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রমে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিতরণকৃত সরকারি সকল বরাদ্দ ও অনুদানের আবেদনের অনলাইন কার্যক্রমের সকল কাজ একচেটিয়াভাবে তিনি করতেন। ইতোমধ্যে টিসিবি কার্ড সংযোজন ও যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত ওয়েবসাইট এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন পাসওয়ার্ডসহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন তিনি।শাওনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগে আরও বলা হয়, তার আচরণ ও চাল-চলনে অনেকেই মনে করতো সে ইউএনও কার্যালয়ে কর্মরত একজন সরকারি কর্মচারী। ইউএনও কার্যালয়ের প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার অন্য সাতটি ইউনিয়নের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনসহ বিভিন্ন অনলাইন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণও কব্জা করে নেয় শাওন। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সিল মোহর ও স্বাক্ষর নকল করে অবৈধ জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির মাধ্যমে একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।স্থানীয় সচেতন মহলে এ বিষয়ে প্রশ্নবোধক ব্যাপক আলোচনা ও চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন – একজন সরকারি কর্মকর্তার সরকারি ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ গোপন পাসওয়ার্ড একজন সাধারণ মামুলি অনলাইন ব্যবসায়ীর হাতে কীভাবে যায়? শাওন তো সরকারি কোনো কর্মচারী নয়? তবে কি শাওন কোনো কুচক্রী মহলের ব্যবহৃত শুধু একজন গুটিমাত্র? না কী সে-ই এ চক্রের মূল হোতা?”একজনের লাইসেন্স করা অস্ত্র দিয়ে অন্য আরেকজন কাউকে আঘাত করলে বা খুন করলে, আইনানুযায়ী সেই খুনের দায় অস্ত্রের লাইসেন্সধারী মালিকের কাঁধে বর্তায়। যদি তাই হয়, তবে কথিত ১৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের অবৈধভাবে জাল জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরির অপরাধ কার? এসবের নেপথ্যে কারা? সঙ্গত কারণেই সচেতন মহলের এ অভিযোগের আঙুল যাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্যানদের প্রতি।” এ অবৈধ বাণিজ্য চক্রে শাওনকে সহযোগিতা করতো তারই দোকানে কর্মরত তার শ্যালক ও আরেকজন কর্মচারী। অথচ প্রশাসন তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের তাদের প্রতি প্রশাসনের এই নীরবতা জনমনে উদ্বেগের সঞ্চার করেছে। তাছাড়া এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ করেছিলেন মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন। তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি। এ ব্যাপারে জানার জন্যে তার মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন শাওনের রিমান্ডের বিষয়ে বলেন, “আগামীকাল ১ জানুয়ারি তাকে ৩ দিনের জন্যে রিমাণ্ড মঞ্জুর হয়েছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তার থেকে কোনো তথ্য উপাত্ত পেলে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ ও অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা কলাকুশলীদের নামসহ থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর দাবি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুসারে যথাযথ ও দৃষ্টানমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট