1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কেশবপুরে যুবদল নেতা উজ্জ্বলের জানাজায় ভাই হত্যার বিচার চাইলেন কাউন্সিলর বাবু সাংবাদিক মোস্তফা কামালের পিতার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া আশাশুনিতে ৭ ডিসেম্বর আশাশুনি মুক্ত দিবস পালিত ধর্মপাশায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একজনের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ধর্মপাশায় অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে একজনের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কেশবপুরে জেন্ডার সচেতনতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ আশাশুনির বড়দলে রবিউল বাশারের গণসংযোগ, মহিলা সমাবেশ, সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ভাটা শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ধর্মপাশার সাবেক উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পী আর নেই কেশবপুরে অস্ত্র-গুলি,গাঁজা ইয়াবাসহ ৪জন গ্রেফতার

মানবিকতা,সাহসিকতা এবং দায়িত্ববোধের ১ দৃষ্টান্তের নাম যেনো, ওসি এইচ এম শাহীন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

মোঃরানা মোল্লা /পুলিশ মানেই কি ভীতি? পুলিশের অফিসে ঢুকতে হলে কি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে? মানুষের অভিযোগ শুনতে কি দরকার সুরক্ষা, পরিচয়, কিংবা রাজনৈতিক পরিচিতি?—এই সমস্ত প্রচলিত ধারণাকে সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন খুলনার দিঘলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ. এম. শাহীন।বর্তমান সময়ে দেশের বহু থানায় সাধারণ মানুষ পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়। দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়, কখনো আবার ফিরে যেতে হয় কোনো সহানুভূতিশীল উত্তর না পেয়েই। তবে দিঘলিয়া থানায় ছবিটা একেবারে আলাদা। কারণ, এখানে রয়েছেন একজন মানবিক, সাহসী এবং সেবাপরায়ণ ওসি—এইচ. এম. শাহীন।ওসি শাহীন দিঘলিয়ার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন একজন অভিভাবকের মতো। কোনো বৃদ্ধ নাগরিক কিংবা বিপদে পড়া নারী থানায় গেলে, ওসি সাহেব নিজেই এগিয়ে আসেন। তিনি প্রথমেই শোনেন সমস্যার কথা, এরপর দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। কোনো গরিব কৃষকের জমি নিয়ে বিরোধ হোক কিংবা কোন ছাত্র/ছএী হুমকির সম্মুখীন হোক—সবার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা।স্থানীয়রা বলছেন, “ওসি সাহেবের কাছে গেলে মনে হয় পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলছি। তিনি পুলিশ অফিসার, কিন্তু মনে হয় যেন একজন বড় ভাই।শুধু মানবিকতা নয়, সাহসিকতায়ও তিনি অনন্য। রাত-বিরাতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, মাদকবিরোধী অভিযান, বা কোনো বড় ঘটনার পর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ—সব ক্ষেত্রেই তার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন, মাঠে নামেন এবং দিকনির্দেশনা দেন। অনেক সময়ই দেখা গেছে, সাধারণ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন তিনি।দিঘলিয়া থানায় এখন কেউ গেলে একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়। থানার ভেতরে পরিচ্ছন্নতা, কাগজপত্রের নিয়মিত সংরক্ষণ, অভিযোগ জানাতে নাগরিকদের সহায়তা—সব কিছুতেই আছে শৃঙ্খলা আর পেশাদারিত্বের ছাপ। সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।ওসি শাহীন একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঠিকই, তবে তার কাজের ধরন এবং মানসিকতা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে একজন বন্ধু, অভিভাবক এবং সেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।স্থানীয় এক শিক্ষক বলেন, “এমন ওসি বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় থাকলে মানুষের পুলিশ নিয়ে ভয় দূর হয়ে যেতো।ওসি এইচ. এম. শাহীন প্রমাণ করেছেন যে, পুলিশের কাজ শুধু আইন প্রয়োগ নয়, মানবিক আচরণ এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোও দায়িত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার মানবিকতা ও সাহসিকতা এখন দিঘলিয়াবাসীর অহংকার।এমন কর্মকর্তা দেশের প্রতিটি থানায় থাকা উচিত—যিনি শুধু আইনের চোখে না দেখে, মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলেন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট