1. news@dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ : দৈনিক আমার বাংলাদেশ
  2. info@www.dainikamarbangladesh.online : দৈনিক আমার বাংলাদেশ :
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চুকনগর বাজারে খর্নিয়া হাইওয়ে থানার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে যুবকের আত্মহত্যা পাথরঘাটা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ বুড়িহাটি সরলা স্মৃতি গ্রন্থাগারের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থ প্রদান আশাশুনিতে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত আজ এখানে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারব তা কখনো ভাবিনি,নেত্রকোনায়-বাবর নেত্রকোনা – ৪ আসনে স্বামী-স্ত্রী’র ভোট যুদ্ধ না কি নির্বাচনী কৌশল যশোর-০৬ আসনে বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী আজাদের মনোনয়ন পত্র জমা আশাশুনিতে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা-৩ আসনে এমপি প্রার্থী রুবেল গাইনের মনোনয়ন দাখিল

রাজশাহী অঞ্চলে এক্সেভেটর সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম্য জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি বিলুপ্তপ্রায়।

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী  অঞ্চলে এক্সেভেটর (ভেকু) মাটি খেঁকো/গ্রাস দালাল সিন্ডিকেট চক্রের বেপরোয়া দৌরাত্ম্য জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের একশ্রণির উৎকোচ খোর কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাদের যোগ সাজেশন ও নেপথ্যে মদদে (ভেকু) এক্সেভেটর দালাল সিন্ডিকেট চক্র পুকুর খনন, সংস্কার ও ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি (টপসয়েল) কেটে বিক্রয় করছে। অবৈধভাবে খনন করা এসব মাটি পরিবহণে গ্রামের পাকা-কাচা রাস্তা নস্ট ও পরিবেশ দুষণ হচ্ছে । এছাড়াও ভেকু- এক্সেভেটর ও ট্রাক্টরের বিকট শব্দে ধুলাবালিতে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে, প্রাকৃতিক ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর এর সীমান্তবর্তী নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের (ইউপি) কাঁঠালবাড়ি গ্রামে অবৈধভাবে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে এমদাদুল নামের এক ভূমিদস্যু তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে কৃষকদলের সাবেক নেতা নজরুল ইসলামের বাড়িতে দিনে দুপুরে হামলা-মারপিট, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও নারীর শ্লীলতাহানি করেছে। তানোর এর কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কাদিপুরে গ্রামবাসির সঙ্গে (ভেকু) এক্সেভেটর দালালদের চরম বাকবিতন্ডা হয়েছে। গোদাগাড়ীর রাজাবাড়ি হাট এলাকায় ভেকু দালালদের হাতে স্থানীয় বাসিন্দারা লাঞ্ছিত হয়েছে। রাজশাহীর মোহনপুরে ধুরইল এলাকায় গ্রামবাসির সঙ্গে ভেকু দালালদের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে, পুকুর খননের বিরোধিতা করায় এক যুবককে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে। ভেকু বা এক্সেভেটর গাড়ির চাকার নিচে ফেলে ওই যুবককে হত্যা করা হয়। এর আগে ভেকুর মাথার বাকেট দিয়ে ওই তরুণকে আঘাত করা হয়। এর ফলে সে ভেকুর চাকায় চাপা পড়েন। এ সংক্রান্ত একটি  প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে  প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত নয়টার দিকে উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের (ইউপি) বড় পালশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কৃষক আহমদ জুবায়ের (২৫) গ্রামবাসীর সঙ্গ অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের প্রতিবাদ করতে সেখানে গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীর সঙ্গে পুকুর খননকারিদের বাগ-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে ভেকু-চালক বাকেট দিয়ে জুবায়েরকে আঘাত করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী একটি মোটরসাইকেল ও ভেকুতে আগুন দেয়। ভেকুচালক গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার পরদিন মোহনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। অথচ স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো একরকম নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালিত হলেও- তা অনেকটাই লোক-দেখানো। অথচ জরুরী প্রয়োজন, অবৈধ পুকুর খনন ও কৃষি জমির উর্বরা মাটি কাটা বন্ধ করা- সেটা হচ্ছে না। পুকুর খনন অব্যাহত আছে।সম্প্রতি উচ্চ আদালতে রিট করে অবৈধ পুকুর খনন কাজ চালিয়ে যেতে পারছে। শ্রেণি পরিবর্তন না করেই মাঠের পর মাঠ পুকুর খনন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে নিরব থাকছে স্থানীয় প্রশাসন। এ নিয়ে মোটা অংকের অর্থের লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে তা মানতে নারাজ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আদালতের রিট থাকায় এ নিয়ে কিছুই করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা। রাজশাহী বিভাগ মাছ চাষে সারা দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। কিন্তু পুকুর খনন করে মৎস্য চাষের প্রক্রিয়াটি নেহাতই অবৈধ এবং এর নেতিবাচক প্রভাব অনেক বেশি। ভূমির ধরণ পরিবর্তন না করেই বেপরোয়া গতিতে পুকুর খনন অব্যাহত আছে। এতে করে মৎস্য চাষের প্রসার ঘটলেও কৃষি জমির সর্বনাশ হচ্ছে ও খাদ্য নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি করছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে হাজার হাজার কৃষিখাতে শ্রম দিয়ে জীবীকা নির্বাহ করা শ্রমিক। নস্ট হচ্ছে গৃহপালিত -চরন ভুমি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সামাজিক অস্থিরতা- যা সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মোহনপুরের ঘটনা তেমনই একটি। এমন হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনা এর আগেও হয়েছে। বিস্তর মামলা-মোকাদ্দমাও হয়েছে। তারপরও কীভাবে অবৈধ উপায়ে পুকুর খনন ও ফসলি জমির উর্বরা মাটি কাটা চলতে পারে তা বিস্ময়কর বটে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন পদক্ষেপ নেয়ার সময় হয়েছে। অবৈধ উপায়ে পুকুর খনন করে মাছ চাষে সাময়িক সাফল্য পেলেও এর ভবিষ্যত যে সুখকর হবে না তা সামাজিক অস্থিরতা পর্যালোচনা করলে সহজেই বোঝা যায়। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থেই অবৈধ পুকুর খনন ও ফসলি জমির উর্বরা মাটি কাটার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে। নিয়ামতপুর উপজেলার খড়িবাড়ি এলাকার ভেকু দালাল জুয়েল, রাজবাড়ির ভেকু দালাল মাসুদ ও তানোরের ভেকু দালাল মধু ও নাজমুল বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটলে বিঘা প্রতি ৫ হাজার ও নতুন পুকুর কাটলে বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা খরচ করলেই সবাইকে ম্যানেজ করা যায়। তাই ভেকুর মাটি কাটা কখানোই বন্ধ হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তানোরের সীমান্তবর্তী নিয়ামতপুরের নাকৈল ও কাদিপুর, তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) বনগাঁ, পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) কচুয়া কামারপাড়া, কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) হাতিশাইল মিরাপাড়া, বাধাইড় ইউনিয়নের (ইউপি) বাধাইড় মিশনপাড়া ও গোদাগাড়ীর পাকড়ি ইউনিয়নের (ইউপি) জীবনপাড়া, দেওপাড়া ইউনিয়নের (ইউপি) রাজাবাড়ি হাট, নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের (ইউপি) কাঠালবাড়িয়া, রাজবাড়ি, বটতলি এবং মোহনপুর উপজেলার বাকবৈল ইউনিয়ন (ইউপি) ও ধুরইল ইউনিয়নের (ইউপি) বিভিন্ন মাঠে অবৈধ পুকুর খনন ও ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বরা মাটি (টপসয়েল) কাটা হচ্ছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট