
চয়ন চৌধুরী(ভ্রম্যমাণ প্রতিনিধি)সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডেভিলহান্ট ফেজ-২ অভিযানে রিফাত হাসান জনি (৩০) নামে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটক করার ৩ ঘন্টা পর ছেড়ে দিল ওসি।বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারের ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করার পর ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে থানা থেকে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
আটককৃত রিফাত হাসান জনি উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের উত্তর বীর গ্রামের মো. আমীর হোসেনের ছেলে এবং তিনি সেলবরষ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও রিফাত হাসান জনি আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।এ দিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে আটকের পর কি কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইতে থেকে।পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত রিফাত হাসান জনিকে পুলিশ ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর অভিযান চালিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাদশাগঞ্জ বাজার ব্রীজ এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রায় ৩ ঘন্টা পর রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।উপজেলা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আহমেদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রিফাত হাসান জনি বিগত আওয়ামী সরকারের সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনের রতনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে এলাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করেছে সে। আজ পুলিশ তাকে আটক করে ৩ ঘন্টা পর থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সহিদ উল্ল্যা বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জনিকে আটকের পর তার ফেইজ বুক ভেরিফাই যাচাই-বাচাই করে জানতে পারি সে স্বেচ্ছাসেবকলীগ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে এবং ৫ আগষ্টের পর থেকেই তার পজেটিভ ভূমিকা ছিল বলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।